বিভিন্ন দেশে গরুর মাংসের দাম

0
4545
মজিবর রহমান প্রধান:
গরুর মাংস একটি জনপ্রিয় খাবার,বর্তমানে গরুর মাংস উচ্চবিত্তের খাবারে পরিণত হয়েছে। নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে গরুর মাংসের অবস্থান।
 যেখানে কলকাতায় এক কেজি গরুর গোশতের দাম ১৭৫ রুপি বা বাংলাদেশী টাকায় ২২৪ টাকা। তার ৩০০ কিলোমিটার দূরে ঢাকায় সেই গরুর গোশত বিক্রী হয় ৮০০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানে গরুর গোস্ত পাওয়া যায় ৬০০ রুপিতে যা কিনা বাংলাদেশী ২৩০ টাকার সমান। প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ০.৭৬ ইউএস ডলার মানে ৮০ টাকা, ভুটানে ১৬০ নুল বা ২০৭ টাকা, মিয়ানমারে ৫.৬৬ ইউএস ডলার বা ৫৬৭ টাকা।
মোটামুটি দেখা যায় গরুকে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া বাদে স্থল ভাগে দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশে গরুর  গোশতের  দাম সবচেয়ে বেশি। এখন তো আপনারা বলবেন, এই দেশ মুসলমানদের দেশ , গরুর গোশত খায় বেশি, তাই দাম ও বেশি।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরুর গোশত খাওয়ার তালিকায় ভারতের অবস্থান ৫ম, ২০২২ সালে সেখানে গরুর গোশত খাওয়া হয়েছে ২৯ লক্ষ মেট্রিক টন।
এই  তালিকায় পাকিস্তান আছে ৮ম অবস্থানে ২০২০ এ ওরা ১৭.৫ লক্ষ্য মেট্রিক টন গরুর গোশত খেয়েছে।
চিটাগাং এর লোকেরা এতো গরু খেয়েও বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম ৪৬টি গরু খাওয়া দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে নাই।
নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের মানুষের গরু খাওয়ার তুলনার ডাটা নিয়ে কাজ করে নিজেকে আর কলুর বলদ বানানোর ইচ্ছে নাই।
অদ্ভূত, ব্যাপার হচ্ছে এই দেশের মানুষের গরু গোশত খাওয়ার তেমন কোন রেকর্ড খুঁজে পেলাম না কোথাও !
যেটা পেলাম গত বছর কোরবানি ঈদে প্রায় ৪৬ লক্ষ্য গরু ও মহিষ বিক্রী হইছে। তার মধ্যে ধরে নিলাম ৩০ লক্ষ্য গরু বিক্রী হইছে। প্রত্যেক গরু গড়ে ৩মণ অর্থাৎ ১২০ কেজি করে গোশত ধরলেও ৩.৫ লাখ মেট্রিক টনের উপরে উঠেনা। আমরা জানি আমাদের দেশের মানুষ কোরবানী ঈদের সময় যে গোশত পায় তাই বছরের মূল গরুর গোশতের যোগান।
আমি যদি সারা বছর গরু খাওয়ার হিসেব এর ডাবলও ধরি তাও তা ৭ লক্ষ মেট্রিক টন ছাড়ায় না !
হজ্ব নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় আর বিমান মন্ত্রণালয়ের অদ্ভূত হিসেব ইতিমধ্যেই সবারই জানা হয়ে গেছে। আজকে গরুর গোশততে হাত দিয়েও এই অদ্ভূত নামের ভূতটারে পাইলাম।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২১ মার্চ-২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here