আজ শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিল প্রেমিকা

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

অনলাইন ডেস্ক

তিন বছরের বেশি সময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একসঙ্গে বসবাস করেছেন তারা। কিন্তু বিয়ে না করেই নগদ অর্থ হাতিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান প্রেমিক। পরে ওই যুবককে নাগালে পেয়ে গণধোলাই দিয়ে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান প্রেমিকা নিজেই। বুধবার (২২ মার্চ) এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর আগে, গতকাল রাতে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের নাম নুরুল ইসলাম শাওন। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে ও ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী জানান, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান তিনি। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন অভিযুক্ত। পরে শাওন বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ধর্ষণ মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন ঐ তরুণী। তবে শাওনের পরিবার তাদের বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে তখন আর অভিযোগ করেননি তিনি। তরুণী জানান, এরপর তাদের শারীরিক সম্পর্ক আবার চলতে থাকে। পরে নানা টানাপড়েনে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর তাকে শাওনের বাবা-মা তাদের ঈদগাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে তোলেন। সেখানে বিয়ে ছাড়াই ওই তরুণী ও শাওন একসঙ্গে থাকতে থাকেন। তবে কয়েক মাস পর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শাওনের পরিবার। তিনি আরও জানান, এসব ঘটনায় তিনি আইনের দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করলে শাওন তাদের বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। হুমকি ও আবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান শাওন। মঙ্গলবার শাওনকে বাস টার্মিনালে পেয়ে আটক করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে শাওনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শাওন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে তাকে নিয়ে থানায় যান ওই তরুণী।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাওনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েরই কোনও অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ। সঙ্গত কারণেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

- Advertisement -
- Advertisement -