বিশেষ প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ২৬ মার্চ দেউপুর হাইস্কুল মাঠে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে এই আলোচনা সভা, দোয়া এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কালিহাতী উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোহাম্মদ রমজান আলীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. রহিম বাদশা মোল্লার পরিচালনায় ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি- বিরোধী দলীয় চীফহুইপ ও জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মশিউর রহমান রাঙা (এমপি)।
এছাড়াও ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা- জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল ইসলাম নুরু।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো. আজিজুর রহমান তালুকদার, যুগ্ন আহবায়ক খন্দকার মো. আজাহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সাইমন আহমেদ বিপ্লব প্রমুখ।
এসময় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী বলেন, ২৬ মার্চ দিনটি বাঙালির কাছে একইসঙ্গে গৌরব এবং শোকের। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শুরু করে গণহত্যা। ওই রাতেই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।’ এই ঘোষণার পর ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের সিঁড়ি বেয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।
তিনি আরও বলেন, নীতি, আদর্শ আর দেশপ্রেম না থাকলে কোনদিনই জনগণের কল্যানে কাজ করা যায়না। আমি কখনোই নীতি-আদর্শের কাছে বিক্রি হতে পারিনি। অনেকেই বলতে পারেন কেন আমি দল বদল করেছি। দলের চেয়ে নীতি, আদর্শ এবং দেশপ্রেম অনেক উপরে। জনগণের দাবীতে বাধ্য হয়েই দল বদল করতে হয়েছে আমাকে। কিন্তু আমার নীতি -আদর্শকে বদলাইনি কখনো। জনগণ ও দেশের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি আছি। অনেকেই না জেনে আমাকে ভুল বুঝেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জনগণের দাবীতে বাধ্য হয়েই বিএনপি জোট থেকে নির্বাচন করতে হয়েছিল আমাকে। আমি জনস্বার্থে রাজনীতি করি। তার জন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয় করবো।
এসময় তিনি এলেঙ্গার পার্শ্ববর্তী স্থানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যমুনা ব্রীজের পূর্বপাড়ে ইপিজেড স্থাপন এবং নদীর পার্শ্ববর্তী মানুষের ঘর-বাড়ী রক্ষা ও পাড় ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণই তার মূল লক্ষ্য বলে আশা ব্যক্ত করেন।
আলোচনা শেষে ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ মার্চ-২০২৩/মওম