আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দীর্ঘ বৈরিতা ভুলে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো সৌদি আরব এবং ইরান। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার চীনে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এবং হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান দীর্ঘ সাত বছরের মধ্যে প্রথমবার কূটনৈতিক বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে রিয়াদ এবং তেহরান।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল, নাগরিকদের ভিসা প্রদান এবং সরকারি এবং বেসরকারি সফর পুনরায় চালু করতে রাজি হন তারা। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় খতিয়ে দেখতে সমন্বয় জারি রাখবে টেকনিক্যাল টিম।’
গত মাসে দীর্ঘদিনের পুরনো শত্রুতা ভুলে চীনের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব এবং ইরান। বৃহস্পতিবার চীনে বৈঠক করে যৌথ বিবৃতি দেন তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গত মাসের বেইজিং চুক্তি কার্যকর, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সমন্বয় বৃদ্ধি এবং দুই দেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি অর্জনে উভয়পক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
২০১৬ সালে রিয়াদে শিয়া মুসলিম হত্যার ঘটনায় তেহরানে সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। এর পরপরই ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। সেই থেকে সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব এবং শিয়া নেতৃত্বাধীন ইরানের মধ্যে বৈরি সম্পর্কের শুরু। ইয়েমেনে ২০১৪ সালে সৌদি সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা শিয়া হুথি বিক্ষোভকারীদের সহায়তা করে ইরান। পরের বছর থেকে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট।
২০১৯ সালে সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। সৌদি এবং যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় ইরানকে দায়ী করলেও তা অস্বীকার করে ইরান। অবশেষে সব বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে দুই দেশ আবারও সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে হাঁটছে।
সূত্র: আল জাজিরা
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৬ এপ্রিল-২০২৩/মওম