
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ধারা অপরিবর্তিত রেখে আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে মূল ভূমিকা পালন করবে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেখানে কোনটা মূল ধারার বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তা চিনিয়ে দিতে কাজ করবে। এজন্য চাই ছাত্র রাজনীতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব সাদ্দাম হোসেন এবং শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের উন্নত চিন্তা থেকেই মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতির উদ্দেশ্য সফল করতেই ছাত্রলীগে মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদ সংযোজন করেছেন। মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদ্রাসার সংকট দূরীকরণে ছোট বেলা থেকে বার বার মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। আমার মাদ্রাসা শিক্ষা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন সুখবর পেয়ে আমি সত্যিই আশাবাদী বাংলাদেশের ৪০ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিয়ে। ছাত্র রাজনীতির বাতিঘর যাদেরকে বলি তারা এদেশের সকল সংগ্রামে প্রথম সাড়িতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একটা কথা মনে রাখা দরকার, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। মাদ্রাসার বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার মূল ধারায় আনতে ও নেতৃত্ব তৈরী করতে মাদ্রাসাগুলোতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নিয়মিত সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা করতে হবে আমাদের। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে দেশের সকল ন্যায় সংগত সংগ্রামে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্রনেতাদের মতো প্রথম সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিবেন আগামি দিনে। আর এই নেতৃত্ব বাংলাদেশে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম অফিশিয়ালি ভূমিকা রাখল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কোনো স্টানবাজি নয় বরং শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে একটি সুখী সম্মৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে পিছিয়ে পড়া বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় আনতে সকল কৃতিত্ব বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার ইতিহাসের পাতায় লিখে নিল। নিশ্চয়ই দেশের কোনো ইতিহাসবিদ এই ইতিহাস লিখতে কার্পণ্য করবেন না। আর করলে করুন তাতে আপত্তি নাই আমার মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। এদেশের মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৪০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহযোগিতা ও নেতৃত্বে দেশের মূল ধারায় ভূমিকা রেখে নিজেদের ইতিহাস নিজেরাই লিখবে এখন থেকে।জয়তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জয়তু শেখ হাসিনা।