টাঙ্গাইলের ফাতেমা বেকারিতে খাবারের নামে তৈরি হচ্ছে অখাদ্য

0
171

লুৎফর রহমান উজ্জল:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের ফাতেমা বেকারিতে চলছে রাজ্যের অনিয়ম। এখানে কাজ করছে শিশু শ্রমিক , চুলায় পুড়ছে  আশেপাশে থেকে কুড়িয়ে আনা নোংরা পলিথিন । মানা হচ্ছেনা কোন প্রকার আইন।

সরেজমিনে কারখানাটিতে গিয়ে দেখা যায় -ফাতেমা বেকারির কারখানাটা দুইটি অংশে বিভক্ত এবং দুইপাশে দুইটি চুলা জ্বলছে। প্রথম অংশে গিয়ে দেখা যায়, এখানে মিষ্টি সিঙ্গারাসহ শিশুদের কাছে লোভনীয় নানা ধরনের খাবার তৈরি হচ্ছে । এখানকার অপেক্ষাকৃত ছোট চুল্লিটিতে জ্বলছে চারপাশ থেকে কুড়িয়ে আনা সব নোংরা পলিথিন। চুল্লির উপরে কড়াইতে টগবগ করে ফুটছে গরম তেল। যে তেল কখনো বদলানো হয় কিনা -এমন প্রশ্নে কারখানার শ্রমিকরাও নিশ্চুপ থাকেন। কারখানার এই অংশে স্যাতস্যাঁতে পরিবেশে বসে খাবার প্যাকেট করছে আল আমিন নামে ১৩-১৪ বছরের এক বালক।

কারখানার অন্য অংশটি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ এবং এখানেই বেশিরভাগ খাদ্য তৈরি করা হয়। এই অংশে গিয়ে দেখা যায় কাঠ দিয়ে তৈরি টেবিলের মত করে বানানো জায়গায় রাশি রাশি তৈরি করা খোলা খাবার রাখা হয়েছে। অপরিচ্ছন্ন , নোংরা- স্যাতস্যাতে পরিবেশে যত্রতত্র ঘুরছে তেলাপোকা ও মাছি। কখনো কখনো ওগুলো খাবারের উপর গিয়ে বসছে। এখানে -ওখানে জমা করে রাখা হয়েছে ময়লার স্তুপ।  শ্রমিকরা খালি হাতে ময়দার ময়ান ঢলছে । শরীরের ঘাম গিয়ে পড়ছে ময়দা বা খাবারের উপর । কিন্তু এসব নিয়ে কারোর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শিশু শ্রমিক আল আমিন  বলেন- পরিবেশ আর শরীরের ক্ষতি হয় কিনা জানিনা। আর মালিক পলিথিন পুড়লে আমরা কি করমু? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক বলেন -শহর থেকে একটু দূরে হওয়ায় কারখানাতে  সরকারি লোক খুব বেশি আসে না । আর কেউ আসলে মালিক বাইরে থেকে আলাপ -আলোচনা করেই তাদের বিদায় করে দেয়। সবুজ নামে একজন শ্রমিক বলেন- প্রায় সব কারখানাতেই এরকম পুরনো তেলে কাজ করা হয়। তবে যে  নোংরা পলিথিন পোড়ানো হচ্ছে- এই ব্যাপারটা ঠিক না।

এ বিষয়ে বারবার কারখানার মালিক আছর উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ এপ্রিল-২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here