আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে পুরোনো যুদ্ধবিমান রপ্তানি করতে পোল্যান্ডকে অনুমতি দিয়েছে জার্মানি। এতে করে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় আরও কিছু যুদ্ধবিমান হাতে পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন। ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিমান শক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে পাঁচটি পুরোনো মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান রপ্তানির জন্য জার্মানি পোল্যান্ডকে অনুমতি দিয়েছে বলে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। অবশ্য পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, ইউক্রেনের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে পাঁচটি পুরোনো মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান রপ্তানি সম্পর্কিত পোল্যান্ডের একটি অনুরোধ বৃহস্পতিবার জার্মানির কাছে আসে এবং বার্লিন একই দিন সেই অনুরোধের অনুমোদন দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, জার্মানির ওপর আস্থা রাখা যেতে পারে।
রয়টার্স জানায়, ১৯৯০ সালে পুনঃএকত্রীকরণের সময় পূর্ব জার্মান জিডিআর থেকে ২৪টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিল জার্মানি। সেই সময়ে রুশ এই বিমানটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান হিসাবে মনে করা হতো। ২০০৪ সালে ২২টি বিমান জার্মানি থেকে পোল্যান্ডে পাড়ি দেয়। বাকি দু’টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে একটি দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অন্যটি জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। ফলে পোল্যান্ড এই যুদ্ধবিমানগুলো তৃতীয় কোনও দেশে পাঠাতে চাইলে জার্মানির সম্মতি প্রয়োজন। ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ওয়ারশ সফরের সময় বলেছিলেন, কিয়েভে যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য পশ্চিমা শক্তিগুলোর একটি জোট গঠনে সহায়তা করবে পোল্যান্ড। রয়টার্স বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার আশা করছে ইউক্রেন। আর সেই সময় বিমান হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আরও যুদ্ধবিমান হাতে পেতে চায় কিয়েভ। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এখনও পর্যন্ত কিয়েভের কাছে এফ-১৬-এর মতো উন্নত ফাইটার জেট পাঠাতে নারাজ। আর তাই কিছু মিত্রদেশ পুরোনো মিগ-২৯ জেট পাঠাতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউক্রেন ইতোমধ্যেই এই ধরনের যুদ্ধবিমান রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ এপ্রিল-২০২৩/মওম