রক্তাক্ত সংলাপ
সৈয়দ রনো
পরিবর্তনের ভাসমান খেয়ায়
পাড়ি জমিয়েছে দেশাত্মবোধ
ছিটেফোঁটা অহংকারের পিঠে চড়ে
ঘুরে বেড়িয়েছি এদেশ ওদেশ
মুখস্থ করেছি নান্দীপাঠের শত সহস্র পঙক্তি
তবু স্বদেশ দিন দিন অসুস্থ হয়ে ওঠে
সন্ধি সংলাপ কিংবা শান্তির পূর্বাভাস নেই
প্যালেস্টাইনের বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত শিশুর
বাতাস ভারি হওয়া আর্ত চিৎকার
টগবগে যৌবনের দিনে
মানব মুক্তির মিছিলে স্লোগানে প্রকম্পিত আকাশ
মিথ্যে আলোর পিছনে ছুটে
দেখেছি অন্ধকারের রুগ্ন শরীর
পড়শীর কীর্তন শুনে আবিষ্কার করতে পারিনি
বেঁচে থাকার যতসামান্য পথ
শত বাধায় আমি ভিন্নপথের যাত্রী
আমার রক্তমাখা সংলাপ
দিল্লির রাজপ্রাসাদে গৃহবন্দি
রাজনীতির ঝুলবারান্দায় প্রতিধ্বনিত হয়
সেবাদাসীর তাত্ত্বিকতার মিথ্যে শ্লোক
তাইতো বাঙালীর আশা-আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন
ধর্ষিতা নারীর উলঙ্গ শরীর
ক্ষুধা দারিদ্রের কষাঘাতে
জীবনের ক্লান্ত চোখে নামে বর্ষা
হতাশার কফিনে
শেষ নিঃশ্বাস ফেলে রক্তমাখা সংলাপ
রাত্রীর চোখে জেগে থাকি আমি
গভীর ঘুমের শরীরে এঁকে দেই কষ্টের আল্পনা
প্রতীক্ষায় তাকিয়ে থাকি
জানালার ফাঁকফোকর গলিয়ে
কখন যেন হেসে ওঠবে কাঙ্ক্ষিত সকাল
না-
সূর্যের স্বেচ্ছাচারি হাসি কখনই আমার ছিল না
শান্তির সংলাপ সেতো ব্যর্থ জীবনের হাহাকার
ধূলিঝড়ের কবলে উড়ন্ত খোলা চিঠি
যেখানে দাদাঠাকুর লিখেছেন-
হীনমন্যতার অনলে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তুষ্ট হবেন দণ্ডমুণ্ডের কর্তা
আর অ-গণতান্ত্রিক তাণ্ডবে
অগ্নিরাজ্য হবে আমার স্বদেশ l