শরতের মেঘমালায় ভাসে
— মোজাফফার বাবু
———————————-
দোয়েল পাখি ঘুরে ফিরে উড়ে আবার বসে
শরতের মেঘমালার মতো বেলকনিতে ভাসে
প্রভাতে করে কিচিরমিচির শব্দরা করে গান
নব উদ্যমে গোধূলি লগ্নে ফিরে পায় নতুন প্রাণ
সুললিত মায়াবী আঁখি এদিকে ওদিকে চায়
মনের দুয়ার খুলে শালবনে কতনা কথা কয়
উড়ুউড়ু মনে ফুরফুর করে ঘুরে ফিরেও উড়ে
অবাক ভাবে ভাবুকের মতো কত পায়চারি করে
মাঠ ঘাট বন বাদাড় থেকে খড় কুটো আনে যত
যেখানে খুশি সেখানে বাসা বাধে তার মনের মতো
বীরদর্পে পায়চারি করে করিডর আর বারান্দায়
ভাবটা এমন বাসাটা তার ইচ্ছা মতো ছড়ি ঘুরায়
চোখের সাটার খুলে মিষ্টি মধুর সুরে করে গান
সাদা কালো মিশ্রিত গায়ের রং উচ্ছ্বসে ভরা প্রাণ
কতনা অবদান শস্য ক্ষেতে করে পোকার দমন
তায় তরতাজা ফুল ফসলে মাঠে ভরে উঠে আমন
একদিন শ্রাবনের ঝির ঝির বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা
প্রোটকল ভেঙ্গে বেডরুমে ঢুকেপড়ে আচমকা
হয়ে যায় পাখার আঘাতে একবার ধরাশায়
এ যাত্রা হয়ে যায় পার সকলের সেবা শুশ্রুষায়
কটমট চোখে হাঁটে বসে ঘরে পায়চারি করে
রাগে অনুরাগে ফেটে পড়ে পাখাটা ছাড়ল কে
ঠোটের দোপাট্টায় অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি ফণী তোলে
চৈত্র মাসের দুপুরে দাঁড় করেল শান্তি পেত মননে
কতশত মার্বেল আলিশান সৈকত জমিদারি বাড়ি
অপরূপ টিপটপে সজ্জিত পায়েখায় গড়াগড়ি
কে থাকে রঙ চটা বারি আজই চলে যেতে পারি
মানবতা শরীর স্বার্থপর নয় লভি তায় পরে থাকি
দৈবাক্রমে নির্দিষ্ট সময়ে পাখি যদি না ফেরে ঘরে
চিলেকোঠা করিডোরে তন্ন তন্ন খুঁজে ফিরি নিড়ে
তবুও আদরিনী দোয়েল পাখি আর আমার পরিবার
আদর সোহাগে মিলে মিশে থাকি আমরা পরস্পর
খ.র