মো: মহিদ:
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় রাবেয়া খাতুন (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মানিকগঞ্জ থানার এসআই মোঃ টুটুল উদ্দিন, এসআই মোঃ সোহেল, এএসআই মেহেদী হাসান,এএসআই ইমরান হাসান, এএসআই সুমন ভূইয়া এবং এ এসআই নূর আলমের সমন্বয়ে ৬ সদস্যের একটি অভিযানিক দল ৩ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে মানিকগঞ্জ থানাধীন সরুপাই বাজার হতে অভিযুক্ত শুকুর আলী (৩৫) কে আটক করেছে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো বটি ও হত্যাকারীর রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত শুকুর আলী একই গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। ১৫ই এপ্রিল শনিবার দুপুরে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের বেংরই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বেলা ১১ টার দিকে ওই বখাটে শুকুর আলীর বাড়ির পাশের একটি খাদ থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাবেয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জননী ছিলেন। পুলিশ ও নিহতের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, রাবেয়া বেগম তার ছোট ছেলে আলামিন ও নাতিন তন্বীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতো। আজ সকালে প্রতিবেশী আলাল উদ্দিনের ছেলে শুকুর আলী (৩৫) দুই বাড়ির মধ্যখানে অবস্থিত একটি খাদে নিয়ে রাবেয়া বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে হত্যার খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায় নিহতের বড় ছেলে আলী রেজা। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফ সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযুক্ত শুকুর আলী নেশাগ্রস্ত। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫এপ্রিল-২০২৩/মওম