আমার কোন বন্ধু নেই
-ক্যামেলিয়া আহমেদ-
তখন হৃদয় ছিল সাদা কাগজ অক্ষরগুলো রাত-
কালো সে শব্দের বুকে
জোনাকির ছুটোছুটি স্বপ্ন !
নির্দ্বিধায় বেড়িয়ে যেতাম ঘরের বাহিরে
বিচরণ করতাম মনের ভুবনে,পেতাম সুখের গন্ধ
আমার কোন বন্ধু ছিল না !
অযথাই বৃষ্টিতে ভিজতাম
কোন অদৃশ্যর হাত ছুঁয়ে
যা নিজের অন্তরিক্ষে আজো দৃশ্যমান !
এমন লুকোচুরি খেলায়
পিতার হাতে ধরা পড়তে হয় একবার
তাঁর রক্ত চোখের চাহনি অযথা শাসন
হৃদয়ে এঁকে দেয় মানচিত্র
যেখানে কোন প্রেমিক পুরুষের
বসবাস থাকবে না,থাকবে না আনন্দ উৎযাপন –
নিজেকে ঈশ্বর বানিয়ে তর্জনী উঠিয়ে বলেছিলেন
আকাশ দ্যাখো বিশাল হতে শেখো !
তখনই ভেতরে ছোট হয়ে যাবার লজ্জা জেগে ওঠে
সমস্ত ভাবনা মেধা চিরে ছিন্নভিন্ন হয়
আমি তো কেবল কল্পনায় ভাসতাম –
সেই থেকে বিশাল হতে শেখার সংগ্রাম শুরু হয়
সব কল্পনার মৃত্যু হয় !
আমার প্রেমবোধ ঘুমিয়ে পড়ে !
গাম্ভীর্যের পথ হেঁটে হেঁটে চলে এলাম শহরে-
এখানে কোন বন্ধু নেই স্বজন নেই
সব রোবটিক !
মৌনতা করে দিলো নিঃসঙ্গ !
আজ আর পিতা এসে দেখেন না
কতোটা বড় হয়েছি
কল্পনগরীর সেই যুবকটিও জানে না
কোন মানচিত্র আঁকা হয়েছিলো আমার হৃদয়ে!
সময়কে এড়িয়ে অনেক বড় হয়েছি আমি
হাত বাড়িয়ে কেউ ছুঁতে পারে না !
চাইলে ও মাটির স্পর্শ মেলে না
আমার কোন বন্ধু নেই !