লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রচণ্ড গরমে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেক শিশুই ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছে এখন। গরমে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে হওয়ার কারণে কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিভাবকের উচিত শিশুর প্রতি যত্নবান হওয়া।
সর্দি-জ্বর ওষুধ খাওয়ানোর কয়েকদিনের মধ্যে সেরে গেলেও দেখা যায় শিশুর কাশি সহজে সারছে না। এক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে অ্যালার্জির বিভিন্ন লক্ষণও ফুটে উঠতে পারে শিশুর শরীরে। এ সময় শিশুর কাশি হলে ৩ ধরনের ফল একেবারেই খাওয়াবেন না। এর পাশপাশি আরও কিছু নিয়ম অনুসরণ করা জরুরী বলেন, ভারতের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিহার পারেখ। তার মতে, শিশুর কাশি হলে স্ট্রবেরি, আঙুর এবং লিচু খাওয়ানো যাবে না। অন্তত শিশুর কাশি হওয়ার পর ২০-২৫ দিন পর্যন্ত এই ফলগুলো খাওয়ানো এড়াতে হবে।
শিশুরোগ এই বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত রঙের, কৃত্রিমভাবে মিষ্টি, কৃত্রিমভাবে রঙিন বা অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। এসবের পাশাপাশি আইসক্রিম, চকলেট, ক্যান্ডি, পেস্ট্রি, ডোনাটস, কেক, স্ট্রবেরি, লিচু, আঙুর এবং ফ্রিজের যে কোনো ঠান্ডা খাবার শিশুকে এখন খাওয়াবেন না।
শিশুর সর্দি-কাশির ঝুঁকিতে করণীয়
ডা. নিহার পারেখ অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন, ধুলাময় স্থান, রঙের কাজের সাইট, নির্মাণ এবং সংস্কারের জায়গাগুলোতে শিশুদেরকে নেবেন না। এসব স্থানে গেলে কাশি বাড়তে পারে। ঘরে প্রয়োজনে এয়ার পিউরিফায়ার রাখুন। এর পাশাপাশি ঘরে কার্পেট গুটিয়ে নিতে হইবে, নরম বা পশমের খেলনাগুলো শিশুকে দেবেন পরিষ্কার করে।
ঘরে যদি পাখি, বিড়াল বা কুকুর থাকে, তাহলে তাদের পশম বা পাখনা থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। সেগুলো ক্রমাগতভাবে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮এপ্রিল-২০২৩/মওম