আমাদের ট্রেনযাত্রা
–
সদলবলে যাত্রা করবে ট্রেন যোগে কলকাতা
সেই চিন্তায় ঘুম হারাম খুলল তিনটায় চোখের পাতা
জোগারযন্ত্র সবার শুরু কেউ করেনা সময় চিন্তা
বারে বারে দিচ্ছি তাড়া সাজছে তবু আমার বিন্তা
ভয়ে মরি ট্রেন ফেলের সোয়া আটটা বাজল বলে
ঘড়ির দিকে পড়লে চোখ আঁতকে ওঠে সদলবলে
পড়িমরি নামল নিচে পাইনা খুঁজে গাড়ির চালক
কোথায় নাছির কোথায় শামীম হতচ্ছাড়া অবুঝ বালক
তাড়াহুড়া বুঝেনা কেউ থাকে কোথায় এ সকালে
পাঁচটার সময় বলছি আসতে এখন রইছে কোন সে তালে
যাত্রাকালে বকশিস নিয়ে গেটের লোকে তুলল কথা
ঈদের মার্কেট বুঝেনতো আগুন লাগছে যথাতথা
পাশ কাটাতে এগিয়ে যাই তাই কি আর হয়গো সাধু
যথা সময়ে পৌঁছতে হবে এটাই এখন মুখ্য দাদু
ঝইঝামেলা শেষ করেছি বাকি রইছে ঢাকার জ্যাম
মনে মনে বলছি আমি কোথায় রইছ ঘন শ্যাম
রামকৃষ্ণ পথের সাথী চালায় আমার জীবন গাড়ি
পৌঁছে গেলাম রেল স্টেশন সময় রেখে তাড়াতাড়ি
যাত্রা হলো শুরুরে ভাই থেমে থেমে চলছে ট্রেন
এসি কোচে আরাম পাচ্ছি তাইতো গরম হয়না ব্রেন
পাশের সীটের বকাউল্লার বিরামহীন কথার তালে
ট্রেন চলছে কলকাতায় নন্দরাজার গরুর পালে
এইতো থামে এইতো চলে আন্তঃদেশীয় মৈত্রীবাবু
চিৎপুর এসে থামতে থামতে আমরা সবাই হইছি কাবু
এরপর এলো গরম হাওয়া ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস
কোলকাতাটা হচ্ছে মনে অগ্নিদগ্ধ বিশুবিয়াস
অন্যরকম জীবন থেকে শান্তি খুঁজি শান্তিনিকেতন
রবিঠাকুর কাব্য লিখে জানিয়ে দিলেন এটাই জীবন।
–
খ.র