অতৃপ্ত আত্মা
–
শহরের এ প্রান্তে বৃষ্টিতে ভিজি
ওপ্রান্তে আকাশে তারা ফুটে আছে
ক্লান্ত আত্মার পাশে পড়ে আছে যুবতীর লাশ,
জারুল গাছটায় দুটো মাছরাঙা পাখি
নিদ্রাহীন চোখ চেয়ে থাকে পাতার ফাঁকে
রাতের অন্ধকার চেটে চেটে বেড়ে ওঠে জোনাকির দল
মাছেরা তখনও মাছ হয়েই থাকে, গাছেরা গাছ।
কী যেন ছিল নামটা, মন থেকে মুছে গেছে
অথচ একটা সময় ছিল ওকে নিয়ে ভাববার
হৃদয়ের স্পন্দন থেকে অনুভূতি ছিল, অথচ
নামটাই মুছে গেছে। পড়ে আছে অতৃপ্ত আত্মা
আর একটা যুবতীর লাশ, তাকে চেনা চেনা লাগে
ঠোঁটের কোণে তিল, বিস্তৃত চাহুনি
যদিও এখন বিরতিহীন নিদ্রায় আচ্ছন্ন।
তাকে চিনবারই বা কী প্রয়োজন, তবুও স্থির হয় পা
আমি আকাশকে প্রশ্ন করি- আমি কী চিনি?
আমার কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হয়, কেঁপে ওঠে শহর-নগর-বন্দর
সেই শব্দে গ্রামের তিনটে পাখি ভয়ে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়
অথচ পালাবার কথা ছিলনা। তাকিয়ে দেখি –
তখনও পড়ে আছে একটি অতৃপ্ত আত্মা আর যুবতীর লাশ
ঠোঁটের কোণের তিলটি বড্ড চেনা।
–
খ.র