বিনোদন ডেস্ক :
দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে বাংলা চলচ্চিত্রগুলো ব্যাপক ভালো ব্যবসা করছে। ঈদের প্রথম সপ্তাহে প্রায় সব শো হাউজফুল গিয়েছে। দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে একটু দর্শক কমলেও বিকেল-সন্ধ্যার শোগুলোতে দর্শক বেশ ভালো বলে জানা গেছে। সারা দেশে তিন মাল্টিপ্লেক্সের ৩০টি থিয়েটার রয়েছে। এবারের ঈদে বাংলা চলচ্চিত্রের ব্যবসায় সন্তুষ্ট মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষরা।
ঈদে মুক্তি পাওয়া ৮টি সিনেমার মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স ৬টি সিনেমা প্রদর্শন করছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে রয়েছে ৫টি থিয়েটার, ধানমণ্ডি সীমান্ত সম্ভার, মিরপুর সনি স্কয়ার, মহাখালীর এসকে টাওয়ার, চট্টগ্রামের বালি আর্কেডের চেইনগুলোতে রয়েছে ৩টি করে থিয়েটার, ঢাকার মিলিটারি মিউজিমা ও রাজশাহীতে রয়েছে একটি থিয়েটার।
৭টি শাখার ১৯টি থিয়েটারে পর্যায়ক্রমে ঈদে মুক্তি পাওয়া ৬টি সিনেমা চলছে বলে জানালেন স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাসে রয়েছে ৭টি থিয়েটার। এখানেও বাংলা চলচ্চিত্র দাপট দেখাচ্ছে। এমনটাই জানিয়ে ব্লকবাস্টার সিনেমাসের বিপণন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে লিডার আমিই বাংলাদেশ, জ্বীন, কিল হিমসহ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি দিয়েছি। ঈদের দিন সকালে একটু মন্দা হলেও দুপুরের পর থেকে ভালো ব্যবসা করছে। এখানে ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ ৫টি শো চলছে, ‘কিল হিম’ ও ‘জ্বীন’ ৪টি করে শো চলছে। ‘লোকাল’ ৩টি ও ‘পাপ’ ও ‘আদম’ ২টি করে শো চলছে। ঈদের দিন থেকে বাংলা ছবি ভালো ব্যবসা করছে, কিছু ছবি তো খুবই ভালো ব্যবসা করছে।’
এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের লায়ন্স সিনেমাসে রয়েছে ৪টি থিয়েটার। সেখানে ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ ও ‘জ্বীন’ সিনেমা দুটির চাহিদা বেশি হলেও বাংলা সিনেমার চাহিদা বেশ বেড়েছে বলে কালের কণ্ঠকে জানালেন একজন কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ।
নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন ওই এক্সিকিউটিভ বলেন, ‘আমাদের এখানে লিডার ও জ্বীনের পরে লোকাল সিনেমা ভালো চলছে। আমরা ৬টি সিনেমা প্রদর্শন করছি। এটা একসঙ্গে না করে ভাগ করে সপ্তাহ পরপর মুক্তি দিলে আরো ভালো ব্যবসা হতো। তবে বাংলা সিনেমায় যে হারে দর্শক ব্যাক করছে আমরা সন্তুষ্ট, সামনে সুদিন দেখছি।’
.
.
খ.র