পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র ছিনতাই: পতেঙ্গা থেকে ২ আসামি গ্রেফতার

0
176

আব্দুল সাত্তার টিটু, চট্রগ্রাম:

কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নির্মম ভাবে কুপিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এজাহার নামীয় অন্যতম প্রধান আসামি খাইরুল বশর ওরফে পুতু ওরফে পুতিয়া এবং সালাউদ্দিন’কে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার।
শুক্রবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর পতেঙ্গা থানার ডেইলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চকরিয়া থানার হাফালিয়াকাটা এলাকার নুরুল সওদাগরের ছেলে খাইরুল বশর ওরফে পুতু ও আমির হোসেনের ছেলে মো. সালাউদ্দিন।

র‌্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিডিয়া মোঃ নুরুল আবছার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
র‌্যাব জানায়, গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩খ্রি. তারিখ কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া থানার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পিসিসি নং- ১১৫ ইং মূলে এসআই (নিঃ) শামীম আল মামুন টহল ডিউটি করা কালে গত ২৬ এপ্রিল ২০২৩খ্রি. তারিখ রাত আনুমানিক ০০.০৫ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া থানাধীন বড়ইতলী ইউনিয়নের পেকুয়া বড়ইতলী রোডস্থ শাপলা যুব সংঘ হাফালিয়াকাটা এলাকায় উপস্থিত হইলে উক্ত আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এজাহার নামীয় ১নং প্রধান আসামি রাকিব’কে হাতে কিরিচসহ রোডের উপর দেখতে পায়। পরবর্তীতে পুলিশের উক্ত টহল টিম রাকিব’কে গ্রেফতারের জন্য ধাওয়া করে। তখন রাকিব ডাক-চিৎকার শুরু করে এবং তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলের রাকিবের আত্মীয় স্বজন ধারালো চাপাতি, কিরিচ, রাম-দা, ধামাদা, লোহার রড, বাশের লাঠি, হাতুরি ইত্যাদি নিয়ে সবাই মিলে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বে- আইনী জনতা বদ্ধে সজ্জিত হয়ে রাকিবের নেতৃত্বে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। সে সময় রাকিবের হাতে থাকা কিরিচ দিয়ে এসআই (নিঃ) শামীম আল মাসুম এর মাথায় কোপ মেরে গুরুতর জখম করে এবং রাকিবের অন্যান্য সহযোগীরা বাকি পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে পুলিশের একটি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এসআই শামীম আল মামুন, কনস্টেবল তারিকুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ মামুনকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় তৎক্ষনাত চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে উক্ত আহত পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎিসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে ৩০ জনকে এজাহারনামীয় ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাকিবকে ছিনতাই করা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তবে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ মে-২০২৩/এসএএইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here