প্রবৃদ্ধি অর্জন হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ

0
146

আলোকিত ডেস্ক:

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্য কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে।

আর আগামী অর্থবছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন এবং ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ‘রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩’ শীর্ষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ৩ মে বুধবার আইএমএফ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি নিয়ে  ৪ মে বৃহস্পতিবার আইএমএফের এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

প্রতিবেদন মতে  চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ, চীনের হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চীনের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হচ্ছে দশমিক ৩ শতাংশ। তবে চীনের অর্থনীতি বাংলাদেশের আকারের চেয়ে অনেক বড়। একই সঙ্গে ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।

চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের দশমিক ৪ শতাংশ কম হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার সাড়ে ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কোনও প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ হতে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪ দশমকি ৫ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বাংলাদেশের ১ দশমিক ৮ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ইউরোপের ৭ দশমিক ১ শতাংশ, আফ্রিকার ৪ শতাংশ।

আলোকিত প্রতিদিন/০৬ মে -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here