ইসলামপুরে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা,উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানী : অভিযোগ সেনা গাড়ী চালকের বিরুদ্ধে 

0
185
প্রতিনিধি,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুর ইউনিয়নের জুমনগর সমিতিপাড়া এলাকায় রাতে ঘরে ডুকে এক নারীকে ধর্ষণের  চেষ্টা ও মারধরে অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমান নামের এক সেনা বাহিনীর গাড়ী চালকের বিরুদ্ধে। এরআগেও আয়েশা বেগম নামের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধরে আহত ওই নারী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীও করেছে।
৮ মে সোমবার আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর এসব ঘটনা বর্ণনা করেছে ওই নারী ও তার পরিবার। তারা জানান, জুমনগর সমিতিপাড়া এলাকার আবদু রশিদের ছেলে রমজান আলী বাপ্পি এবং তার স্ত্রীর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কলহ সৃস্টি হয়। এঘটনাটি মিমাংসার কথা জানিয়ে স্থানীয় খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে, সেনা বাহিনীর গাড়ী চালক মিজানুর রহমান সুযোগ নেয়। ওই নারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে তার পক্ষ নেওয়ার কথা জানিয়ে বাড়ীতে আসা যাওয়া এবং মোবাইলে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাবও দিত মিজান। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়ীর সদস্যরা ঘরে না থাকার সুযোগে গত ৪ মে রাত ৯ টার দিকে  মিজানুর রহমান ওই আবদু রশীদের বাড়ীতে ডুকেন। এসময় গৃহবধূকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা, গালে কামড় দেয়। এতে চিৎকার করায় তার শ্বশুর আবদু রশিদ ও শ্বাশুড়ী গুলবাহারসহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে মিজানকে ধরে ফেললে বাড়ীর সদস্যদের মারধর করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মিজান।
আহতদের আহত ওই নারী ও তার শ্বাশুড়ি গুলবাহারকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় ঈদগাঁও থানায় এজাহার দিলে থানার ওসি মামলা নেয়নি। গৃহবধূর শ্বশুর আবদু রশিদ জানান, তার পুত্র বধূকে ধর্ষণের চেস্টা এবং স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত মিজানের ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে উল্টো গত ৫ মে ঈদগাঁও থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩, জিআর-৪৭, তাং-৫/৫/২০২৩.
তিনি জানান,মামলায় আসামী করা হয় আমাকে, আমার স্ত্রী গুলবাহার, ছেলে শাকিল খান ছোটন এবং রমজান আলী বাপ্পিকে।
আজ সেমবার এই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আমাদেরকে জামিন দেন। এবিষয়ে ধর্ষনের চেষ্টাকারী সেনা বাহিনীর সদস্য পরিচয়দানকারী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল শুক্কুর জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী সেনা সদস্য মিজানকে আটক করে রেখেছিল। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মহিলা এবং পুরুষদের মারধর করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মিজান।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা জানান, এই মিজান সেনাবাহিনীর গাড়ী চালক হওয়ার প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের জমি দখল, বন ভুমি বিক্রি, ভুঁয়া ফেসবুক আইডি খুলে মানুষকে হয়রানী, বিচারের নামে নারীদের কু প্রস্তাব দেওয়া সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকা ছেড়েছে অনেক পরিবার। এরআগে আয়েশা বেগম নামের এক নারীকে ধর্ষণ করেছিল এই মিজান। এঘটনায় মিজানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিল ওই নারী।
সিপি মামলা নং-৪৪/২০২০, (সদর), ২০/১/২০২০.
মামলাটি নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এ বিচারাধীন রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৮ মে -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here