৭ বছর পালিয়ে থেকেও রেহাই পেলেন না খোরশেদ

0
194

এস এম বেলাল :

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে জবাই করে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হয়ে তিনি দুই বছর কারাগারে ছিলেন।পরে জামিনে বের হয়ে তিনি প্রায় সাত বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
১৪ মে রবিবার রাতে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুর ২টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নোয়াখালীর সুধারাম থানাধীন সোনাপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোরাশেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরে তাকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। খোরশেদ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন রামপুর গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে।
‌র‌্যার-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, হত্যা মামলায় খোরশেদ গ্রেপ্তার হয়ে দুই বছর কারাগারে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জামিনে বের হয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য তিনি গাঁ ঢাকা দেন। এ মামলায় ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের রায়ে খোরশেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খোরশেদ দীর্ঘ কয়েকবছর পলাতক রয়েছেন জানতে পেরে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার খোরশেদ জানিয়েছে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক অন্য আসামিরা বিদেশে পালিয়ে আছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন। রায়ের সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুর রহমান এবং মো. জয়নাল, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার ও মো.শাহজালাল পলাতক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিহত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মান্নানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চারদিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ এবং শুনানি শেষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামিরা জড়িত রয়েছে বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ মে -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here