শিক্ষকের অবহেলায় দাখিল পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত প্রতিবন্ধী কিশোরী নাছিমা

0
218
সাইফুল ইসলাম: 
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার সোলাইমানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছৈয়াল কান্দির মজিবল মিজির  প্রতিবন্ধী মেয়ে নাছিমা আক্তার একাডেমিক সব কার্যক্রম সম্পুর্ণ করার পরেও এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
অভিযোগ রয়েছে প্রতিবন্ধী নাছিমা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম ফিলাপের টাকা রশিদের মাধ্যমে  অত্র মাদ্রাসার সহকারশিক্ষিকা টিউলিজ রহমানের কাছে প্রদান করেন। পরীক্ষা শুরুর আগে মাদ্রাসায় প্রবেশ পত্র আনতে গিয়ে প্রতিবন্ধী নাছিমা দেখেন তার নামে কোন প্রবেশ পত্র আসে নাই। অর্থাৎ প্রতিবন্ধী নাছিমার নামে কোন টাকা পয়সা জমা হয় নাই।
প্রতিবন্ধী নাছিমা আক্তার বলেন,আমি প্রতিবন্ধী সমাজে এবং পরিবারের বোজা এখন আমি পরীক্ষা না দিতে পারায় বিষন্নতায় ভুগছি। এব্যাপারে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে তার দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।
সখিপুর সোলাইমানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বলেন,ফরম ফিলাপের দায়িত্ব ছিলো সহকারী শিক্ষিকা টিউলিজ আক্তারের সে আমার কাছে যেই কয়টি নাম জমা দিয়েছিল সেখানে নাছিমার নাম ছিলো না। এর বেশি আমি জানিনা।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, ব্যাপারটা আমি শুনেছি, সুপার বললো ওর নামে টাকা জমা হয় নাই তাই ওর প্রবেশপত্র আসে নাই
অভিযুক্ত টিউলিজ আক্তারকে ফোন দিলে তার স্বামী মনিরুল বাসার ফোন ধরে বলেন, আমার স্ত্রী শ্রেণি শিক্ষক হিসাবে ফরমের টাকা কালেকশন করে সুপারের কাছে জমা দিয়ে দেওয়া এর বেশি নয়, সেখানে নাছিমার নামেও একহাজার টাকা জমা দেওয়া হয়েছে, এখন নাছিমার প্রবেশ পত্র কেন আসলো না সেটা সুপার বলতে পারবে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তদন্তে যে দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকতাকে লিখিত ভাবে জানানো হবে। উর্ধ্বতন কর্মকতাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
শরীয়তপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ মে -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here