আবু সায়েম:
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালিত হয়েছে। বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার’ এ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজার উত্তর এবং দক্ষিণ বনবিভাগের উদ্যোগে র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালন করা হয়েছে। ২২ মে সোমবার ১০টায় কক্সবাজার উত্তর এবং দক্ষিণ বন-বিভাগের আয়োজনে বন বিভাগের চত্বর থেকে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে ওইস্থান থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম ।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বন্য প্রাণী এবং জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা ইসমত আরা নুরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন করেন, নেকমের উপ- পরিচালক ডঃ শফিকুর রহমান। সভায় বক্তারা জনসাধারণ কে সচেতন করার লক্ষ্যে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম বলেন,আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস ১৯৯৩ সালের শেষ দিকে পালনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে এই দিবস পালন বন্ধ করে দিলে ২০০২ সালের ২২ মে পালনের জন্য দিবসটি পুনঃনির্ধারণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীব বৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। সভায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপস্থিত সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই বনব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণের লক্ষে বাসযোগ্য শহর গড়তে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন,ইতোমধ্যে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতন করা হচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ভিদ, প্রাণী, প্রকৃতি নদী পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অংশীদার হতে পারবো। আমরা সকলেই যদি নিজ জায়গা থেকে সজাগ ও সতর্ক থেকে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।
আলোচনা সভায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইসরাত ফাতেমা, কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জ কর্মকর্তা, এনজিওর প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ মে -২০২৩/মওম