বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর ওপর ফতেহ আলী সেতু পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২২মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এ কাজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ওবায়দুল হাসান ববি, সদস্য গৌতম কুমার দাস,সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা,সহ-সভাপতি মুকুল,সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় সহ বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই সেতুর দুপাশে আড়াই মিটার করে ফুটপাত থাকবে। দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপোত্যর ছোঁয়া রয়েছে এই সেতুর নকশায়। এ সেতুটি পুনঃনির্মাণ হলে বগুড়া শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ২০২১ সালে সেতুটি নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরে সেতুটির নকশা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা এবং অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। এক বছরের মধ্যে সেতুটির পুনঃনির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। সড়ক বিভাগ থেকে সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে করতোয়া নদীর ওপর ৬৮ মিটার দীর্ঘ ফতেহ আলী সেতু নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সে সময় সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। নির্মাণের নয় বছর পর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেতুটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বাধীনতার পর সেটি মেরামত করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার প্রায় ৫ বছর পর এর পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। দীর্ঘ ৫৩ বছর আগে নির্মিত এই সেতু পুনঃনির্মাণ কাজ শুরুর আগে গত ১৬ মে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন। সোমবার সেতুটির পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। ফতেহ আলী সেতুটি বগুড়াবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। বগুড়ার তিনটি উপজেলা সহ জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলার কিছু উপজেলার মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হবে। ফলে ঐ উপজেলা গুলোর কৃষি পণ্য সহ সকল ধরনের পণ্য সহজে বাজারজাত এবং বগুড়া শহরের সাথে চলাচল সহজ করা সম্ভব হবে।তাছাড়াও এ সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে শহরের যানজট অনেকাংশে কমবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ মে -২০২৩/মওম