প্রতিনিধি, বীরগঞ্জ:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরার পথে ৪ জন ছাত্রীকে উত্যক্ত করতে বাঁধা দেওয়া সহপাঠী রাসেল ইসলাম(১৫) নামে এক পরীক্ষার্থীকে খুর মেরেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে। রাসেল ইসলাম চাপাপড়া গ্রামের মো,হাবিবুর রহমানের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং অটোচালক সাজ্জাদ হোসেন জানান, পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে অটোযোগে চার পরীক্ষার্থীকে চাপাপড়া গ্রামের বাড়ী পৌঁছে দেওয়ার সময় গড়েয়া-বীরগঞ্জ সড়কের উপর দুইজন সন্ত্রাসী পথরোধ করে উত্যক্ত করে। একপর্যায়ে তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পিছন থেকে সহপাঠী রাসেল ইসলামকে ধারালো খুর মেরে মারাত্মক আঘাত করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকী মানিককে এবিষয়ে অবগত করা হলে তিনি বীরগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ থানার এসআই সজলসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উক্ত এলাকার অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিকরা জানান,একেরপর এক ঘটনায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমরা চিন্তিত এবং পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। এব্যাপারে পলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকী মানিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চারজন ছাত্রী এবং আহত রাসেল ইসলাম এসএসসি পরীক্ষার্থীরা কালি মেলা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী। আহত পরীক্ষার্থীকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। যে খুর মেরে পালিয়েছে তাঁকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনাত রেহানা বলেন,এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় বীরগঞ্জ থানা পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পলাশবাড়ী পরীক্ষা কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
