সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা

0
321

প্রতিনিধি,সিলেট:

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২ জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় সিলেট জালালাবাদ গ্যাস মিলনায়তনে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের ঘোষণা দেন। প্রথমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সাত মেয়র প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়া হয়।এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল)।এছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) এবং মো. শাহজাহান মিয়া (বাস গাড়ি) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে, প্রতীক বরাদ্দের পর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। নগরের আনাচে কানাচে মাইকিং করে জানান দিতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। কোন কোন ওয়ার্ডে প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে করেন মিছিল-মিটিং। প্রার্থীদের সমর্থনে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আচরণবিধি মেনেই ২১ জুনের নির্বাচনের প্রচারণা করবেন। নৌকা দেশের উন্নয়নের প্রতীক। তিনি এ প্রতীক পাওয়ায় সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার প্রায় পাঁচ লাখ ভোটার নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।  জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলামও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালানোর কথা বলেন। তিনি আগামী সময়ে সিলেট সিটিকে সুন্দর ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়তে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনে গত ২০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তিনি নির্বাচিত হলে সে উন্নয়ন করবেন। এ সময় তিনি নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স ২০ শতাংশ কমানো ও ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স পেতে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৭ জন মেয়র এবং ৩৭২ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১হাজার ৩৬৪টি। এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ০২ জুন -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here