৬ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা ছোট্ট সনিয়া! 

0
240
মোহাম্মদ জুবাইর:
ফুল আছে! ফুল নিবেন বলে হাতে বিভিন্ন কালারের গোলাপ নিয়ে ডাকছে ছোট্ট একটি শিশু। বয়স ৬ কি ৭ হবে, এটুকুন বয়সে সড়কে ফুল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে। বলছিলাম ৬/৭ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা সনিয়া’র কথা। চট্টগ্রাম নগরীর ডিসিহিল গেলে দেখা যাবে ছোট্ট এই শিশুটিকে। বাবা হাড়ানো আর কর্মহীন মায়ের মুখে দু’মুঠো আহার তুলে দিতে সংসারের গুরুদায়িত্ব ছোট কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। যে বয়সে সহপাঠীদের সাথে হেসে খেলে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, সে বয়সে সড়ক দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই শিশুটি। এই ডিসিহিলের পাশ দিয়েই কোটি টাকার লাক্সারি গাড়ি হাকিয়ে চলাচল করেন অনেকে তবে কারো চোখ আটকায়নি ছোট্ট এই মায়াবী কন্যাকে দেখে। বাবা হাড়ানোর কারণে এখন পড়াশোনা একেবারে বন্ধ। বাবার স্থানে হাল ধরেছেন সনিয়া পরিবার দেখাশুনার জন্য মাও অনেকটা এখন কর্মহীন। সংসারে উপার্জনের প্রায় সব পথ বন্ধ আর তাই এদিক সেদিক কিছুই বিবেচনা না করে আহারের সন্ধানে নেমে পড়েছে ছোট্ট সনিয়া।  মা আর ছোট্ট তিনবোন এক ভাইসহ সংসারে পাঁচ সদস্য তার। পাঁচ সদস্যদের ব্যায়ভার একাই বহন করে ছোট্ট সনিয়া। দৈনিক ১০০০ টাকার গোলাপ বিক্রি করলে ৫/৬শত কিংবা ৪শত টাকা আয় হয় তার। আর এই দিয়েই চলে সনিয়ার পরিবার। ফুল বিক্রি করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় না খেয়ে থাকে সে। আর দিন শেষে সব টাকা মায়ের হাতে তুলে দেয়। সকাল থেকে বিকেল অবধি ফুল বিক্রি করে আবার কখনও কখনও সন্ধ্যা নেমে আসলেও বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে। সনিয়া এসব ফুল সংগ্রহ করে পাইকারি ফুল বিক্রির দোকান থেকে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ভোরে দোকান থেকে এসব ফুল সংগ্রহ করে সে। সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর যদি সনিয়ার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিত তাহলে আট দশটা শিশুদের মতো হেসেখেলে বড় হয়ে উঠতো সনিয়া। সনিয়া তার পরিবারের সাথে বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরী কোতোয়ালা থানাধীন গোয়াল পাড়াতে বসবাস করেন। প্রতিবেদনটি দেখার পর দরদ জাগবে সবার মনে, এগিয়ে আসবেন সবাই। পাশে দাড়াবেন ছোট্ট সনিয়ার আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৭ জুন -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here