ইব্রাহিম সবুজ:
মাদারীপুর র্যাব-৮, সিপিসি-৩ ক্যাম্প ও র্যাব-১১, সিপিএসসি কর্তৃক চাঞ্চল্যকর এবং বহুল আলোচিত জেলার শিবচর থানা এলাকার সোহেল মল্লিক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ০৯ বছর যাবত পলাতক প্রধান ০২ (দুই) আসামী নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প এবং র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানীর একটি যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ০৮ জুন ২০২৩ইং তারিখ ভোর ০৪.৩০ ঘটিকার সময় নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাহেব পাড়া এলাকায় অভিযানপরিচালনা করে সোহেল মল্লিক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী শাহীন হাওলাদার (৩৮) ও মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম (৪২), উভয় পিতা- মৃত আব্দুল গফুর হাওলাদার কে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম (৪২) এবং শাহীন হাওলাদার(৩৮) এর সাথে নিহত সোহেল মল্লিক এর ব্যাবসা বানিজ্য নিয়ে দীর্ঘধীন যাবৎ কলহ বিবাদ ছিল। একপর্যায় তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে এবং তারই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও পেটে আঘাত করে গত ০৮/০৮/২০১৩ ইং তারিখ, রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন তার নিজ বসত বাড়ীতে সোহেল মল্লিককে হত্যা করে ঘরের ভিতরে খাটের নিচে লেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রেখে আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ ০৯ বছর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী শাহীন হাওলাদার এবং মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম নির্মাণ শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিল। উক্ত ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারপুির ক্যাম্প বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে উক্ত ঘটনার আসামীদ্বয়কে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীনসাহেব পাড়া এলাকা এবং নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ছিদ্দিক মল্লিক (৬৫), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। উল্লেখ্য যে, র্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারিপুর ক্যাম্প কর্তৃক উক্ত মামলার অপর এক প্রধান আসামী মোঃ আলামীন (২৭) কে, গত ১৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে। ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৮ জুন -২০২৩/মওম