অনলাইন ডেস্ক:
ঘন ঘন লোডশেডিং এবার রাজধানীতে পানি উৎপাদন ও সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে পানির চাহিদাও বেড়েছে দ্বিগুণ। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সংকট দূর বা বর্ষা না এলে পরিস্থিতির উন্নতির আশা দেখছে না ওয়াসা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সংবাদ সম্মেলন করে সৃষ্ট দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।
এদিকে রাজধানীর কদমতলীতে পানির দাবিতে কলস ও বালতি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাসিন্দারা। বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ পলাশপুর এলাকার বাসিন্দারা এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা পলাশপুর, জনতাবাগ পানির পাম্প ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস অবরোধ করেন। এ সময় জনতাবাগ ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ কামাল হোসেন ওয়াসা জোন ৭-এর লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বাসিন্দাদের পানির সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারী বাসিন্দারা চলে যান।
পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসা জানিয়েছে, বিদ্যুতের যাওয়া আসার কারণে দিনে ৪৫ থেকে ৫৫ কোটি লিটার পানি কম উৎপাদন হচ্ছে। এর ফলে নগরীর নানা এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। লাইনে পানি না পেয়ে তীব্র গরমে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান নগরীতে পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে ওয়াসার পানির পাম্পগুলোয় বিদ্যুতের একাধিক লাইন বা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি জানান, ঢাকায় দৈনিক ২৮৫ থেকে ২৯৫ কোটি লিটার পানির চাহিদা আছে। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ২৪০ কোটি লিটারের মত। এই ঘাটতির কারণ হিসেবে তাকসিম বলেন, অনেক সময় বিদ্যুতের জন্য পাম্প চালানো যাচ্ছে না। এতে ঢাকার কিছু এলাকার মানুষ পানি পাচ্ছেন না। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বলেছি ওয়াসার পাম্পে ডুয়েল লাইন যেন করে দেওয়া হয়। গরম বাড়ায় পানির চাহিদা বেড়েছে আবার পানির অপচয়ও হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দুই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একদিকে পানি কম উৎপাদন হচ্ছে। পাইপের পানি গরম থাকায় অনেকে দীর্ঘ সময় পানি ছেড়ে ঠাণ্ডা পানি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন৷ তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হলে পানি সংকট কিছুটা কমবে। আজও ঢাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ১৫ জুনের পর বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে। তখন সমস্যা কমে আসবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ জুন ২৩/ এসবি
