মো. রবিউল ইসলাম:
লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামে সতী নদীর সাগরঘাট পয়েন্টে সেতুর অভাবে নদীটি পারাপারে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চার গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। নদী পারাপারে ভুক্তভোগীরা ব্যবহার করছেন বাঁশের সাঁকো। এতে একদিকে ঝুঁকি রয়েছে, অন্যদিকে কৃষিপণ্য ও রোগী পারাপারে বেকায়দায় পড়তে হয় তাদের। এমন পরিস্থিতিতে সেতু নির্মাণের দাবি তাদের। নদীর ওই পয়েন্টে সেতু নির্মাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশেষ করে ভোটের সময় প্রার্থীরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু তাদের কথার বরখেলাপ হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামকে বিভক্ত করেছে এ নদী। নদীর ওপারে চন্দনপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাবনাডালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাসকিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা। শুষ্ক মৌসুমে কোনোমতে পার হতে পারলেও বর্ষায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, জমি থেকে ধান বাড়িতে আনাসহ দৈনিকের যাতায়াতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যানবাহনে আদিতমারী উপজেলায় যেতে হয় বামনের বাসা রাস্তা হয়ে ৪কিলোমিটার ঘুরে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. আমিনুল ইসলাম জানায়, সাবেক এমপি মজিবুর রহমান ব্রিজের আশ্বাস দিলে কয়েকবার মাপজোখ হয়। কিন্তু পরে আর ব্রিজ হয়নি। বর্তমান এমপি নুরুজ্জামান আহমেদ সেখানে ব্রিজসহ রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এখনো মেলেনি ব্রিজ। আদিতমারি উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, সাগরঘাট ব্রীজের মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম চলমান আছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ জুন ২৩/ এসবি