রাজস্ব ফাঁকি: ফুটপাত দখলে নিয়ে লাভবান কতিপয় চক্র

0
207
মাজেদুল ইসলাম :
রাজধানী মিরপুরের ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন যাবত কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে আসছে  প্রভাবশালী চাঁদাবাজ চক্র। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। মিরপুর ১০ নং গোলচত্বরের চার পাশের ফুটপাত প্রকাশে দখল করে এ অবস্থা চললেও সিটি কর্পোরেশন বা পুলিশের পক্ষ  থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কোনো রকম উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পথচারীদের। দিনের বেলা যেমন হোক না কেন সন্ধার পর আলোর ঝলকানিতে চাকচিক্য ফিরে পেতে শুরু করে দোকান গুলোর।  ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীরা বাধ্য হয়ে সড়ক দিয়ে হাঁটা চলাচল করছেন। এতে করে মূল সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট, অন্যদিকে প্রায়ই ঘটছে এ পথে দুর্ঘটনা। ফুটপাত শুধু রাস্তা বা সড়কের সৌন্দর্যই বাড়ায় না পথচারীদের নিরাপদে হাঁটা চলাচলের উপযুক্ত স্থানও বটে। প্রশস্ত ফুটপাতের কারণে যানজট বা দুর্ঘটনাও কমে অনেক। ব্যস্ত নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে স্বল্প দূরত্বে হেঁটে চলারও কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এই ফুটপাত কি আসলেই পথচারীদের জন্য ? নাকি দখলবাজদের জন্য নির্মান করা হয়েছে এমন প্রশ্ন অনেকের। ফুটপাতের বর্তমান চিত্র দেখে মনে হচ্ছে ফুটপাত আছে কিন্তু ব্যবহারে উপযোগী নয় ! ফুটপাতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রেখেছে ছোট ছোট দোকানের হকাররা, নির্মাণসামগ্রী, ব্যবসার মালামাল সামগ্রী, আর হকারদের ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে প্রতিদিনই হয়রানি পোহাচ্ছেন নারী পথচারীরা। সাথে ছিঁচকেচোর আর পকেটমারদের উৎপাততো লেগেই আছে। আবার কোথাও কোথাও দোকানের পণ্যসামগ্রী রাখা হয়েছে সামনের ফুটপাত দখল করে। ফুটপাতে নানা পণ্যসামগ্রী শার্ট-প্যান্ট, গেঞ্জি, জুতা-মুজার দোকান বসিয়ে ব্যবসার পাশা পাশি খাবার বিক্রয় করছে অনেকে। এ সকল ভাসমান হকারকে পুঁজিকরে একটি চক্র চাঁদাবাজী মাধ্যমে অর্ধকোটি টাকা প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে। ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসায়ী, হকার, অবৈধ পার্কিং ইত্যাদি কারণে ব্যস্ততম এই রাস্তা গুলোতে দিনের বেশির ভাগ সময় লেগে থাকে যানজট। আর ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে নানা দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারীদের। উদাশহীনতা স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে।
বর্তমানে মিরপুর ১০ এলাকার আনোয়ার ম্যানশনের সামনে ফলপট্রি চারপাশ, মেডিনোভা থেকে কিংশুক গ্যাস পাম্প, শাহআলী শপিং, কুরিয়ার সার্ভিস লেন থেকে বড়বাগ বাজার পর্যন্ত এসব ফুটপাতে সর্বমোট প্রায় ২২শত দোকান আছে। দোকান প্রতি ২০০ টাকা ভাড়া ছাড়াও দৈনিক প্রতিটি দোকান থেকে সিটি করপোরেশনর নাম ভাঙ্গিয়ে ২০ টাকা এবং বিদুৎ তের বাল্ব প্রতি দোকান থেকে ৩০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় যার কোন রশীদ প্রদান করা হয় না। তাদের নিয়োগকৃত লাইনম্যান মোঃ আমির হোসেনের (৫৫) এর মাধ্যমে যা মাসে গিয়ে দারাচ্ছে অর্ধকোটি টাকা। মিরপুর ১০ এলাকার একাধিক ব‍্যবসায়ীরা বলেন, জাফর আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে থাকেন শুধু তাই নয় রুবেল ও জাফর নিজেদেরকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দেয় একজন মামলার আসামী পুলিশের সোর্স হয় কিভাবে বিষয়টি রহস্যময়। মহল্লার মধ‍্য বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করে থাকে তারা। পুলিশের সাথে আখের, জাফর, মোরসালিন, সাহাদাত, মোস্তফা ও রুবেলের ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাই ভয়ে আমরা এলাবাসীরা চুপচাপ থাকি। ফায়ার সার্ভিস গেট থেকে ইনডোর স্টুডিয়াম পযর্ন্ত দোকান প্রতি ২০০ টাকা ভাড়া ছাড়াও প্রতিটি দোকান থেকে সিটি করপোরেশনর নাম ভাঙ্গিয়ে ২০ টাকা এবং বিদুৎ এর  বাল্ব প্রতি দোকান থেকে ৩০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এই টাকা তোলার কাজ করে লিটন নামের এক ব্যক্তি যার কোন রশীদ প্রদান করা হয় না। এ ছাড়াও স্বপ্নের মেট্রোরেল স্টেশন ঘিরে রয়েছে একই অবস্থা। মামলার আসামী হয়ে কিভাবে পুলিশের সোর্স হয় জনসাধারণের একটাই প্রশ্ন? বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসবে বলে এলাকার সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজের প্রত্যাশা।বিদ্যুৎ বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ মনিপুর ডিভিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, কারা অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই অবৈধ লাইনের জন্য আমরা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছি। যতবার তারা বিদ্যুৎ এর সংযোগ লাগাবে ততোবার তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। তবে এ সকল ফুটপাতের চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে র্র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যার বিরুদ্ধে চাদাঁবাজীর  অভিযোগ আসবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব অবৈধ কাজকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয় হবে না।
এই বিষয়ে মিরপুর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লার সথে যোগাযোগ করা হলে তিনি  এই বিষয় কথা বলতে নারাজ এবং থানায় যোগাযোগ করতে বলে ফোনটি কেটে দেন। বিস্তারিত আগামী পর্বে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here