মোঃ সাদ্দাম হোসাইন সোহান:
র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি,ধর্ষণকারী এবং খুনীদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগানে র্যাবের এই সমস্ত কর্মকান্ড দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে র্যাব-০৮, সিপিসি-২,ফরিদপুর ক্যাম্প এবং র্যাব-০৩, সিপিসি-১, খিলগাঁও ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে র্যাব-০৩, সিপিসি-১, খিলগাঁও ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ১২ জুন ২৩ তারিখে র্যাব-০৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের দেওয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন চাঞ্চল্যকর আলমগীর হত্যা মামলার প্রধান ০৪ জন আসামি ঢাকা জেলার রমনা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই উদ্দেশ্যে, র্যাব ৮ (ফরিদপুর ক্যাম্প) কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে এই অভিযানে, র্যাব-০৩, , সিপিসি-১, খিলগাঁও ক্যাম্প যোগদান করেন। এর ধারাবাহিকতায় দুই ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে র্যাব-০৮,সিপিসি-২, ফরিদপুর কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এর নেতৃত্বে বিকাল ০৫.৩০ ঘটিকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে আলমগীর হত্যা মামলা প্রধান আসামি ০১। কাউসার মাতুব্বর(৫৫) ০২। সারোয়ার মাতব্বর(৫০), উভয় পিতা-মৃত ইফসুফ মাতুব্বর, ০৩। সানু মাতব্বর(৫৩), পিতা-মৃত বাইজুদ্দিন ০৪। সিরাজুল ইসলাম সিরু(৫০), পিতা-মিয়া হাসেম আলী মাতুব্বর সর্ব সাং-ছোট খারদিয়া, থানা- ভাংঙ্গা, জেলা-ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে ধৃত আসামিগণকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আলমগীর হত্যার ঘটনা স্বীকার করে এবং তারা জানায়, গত ১৩ মে ২০২৩ইং তারিখ বিকাল ১৭.০০ ঘটিকার দিকে ফরিদপুর জেলার ভাংঙ্গা থানার ছোট খড়দিয়া গ্রামে ভিকটিম আলমগীর মাতব্বরের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝামেলার জের ধরে কুপিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামিগণ এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। এই হত্যার ঘটনা পত্র পত্রিকা সহ, সকল মিডিয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ১২ জুন ২০২৩ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদেরকে বিকাল ০৫.৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে ফরিদপুর জেলার ভাংঙ্গা থানার মামলা নং-৩২/১৭৯ মূলে হস্তান্তর করা হয় ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ জুন -২০২৩/মওম