ইমরান নাজির, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (মানিকগঞ্জ) :
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের কাশিধীরামপুরের পূর্ব যমুনা নদী থেকে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করা হচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি ইজারা না নিয়েই দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশীয় খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে এ বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করা হচ্ছে। ইজারা না নিয়েই বালু উত্তোলনে সরকার হারাচ্ছে কোটি-কোটি টাকার রাজস্ব।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের কাশিধীরামপুর গ্রামের আমিনের ছেলে বাঘুটিয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘ দিন ধরে যমুনা নদী থেকে খননযন্ত্র স্থাপন করে এ বালু উত্তোলন করে আসছে।
গতকাল ১৩ জুন (মঙ্গলবার) উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে জাহাজের (বাল্বহেড) জড়িমানা করা হলেও ড্রেজারের কোন জড়িমানা করা হয়নি। যার কারনে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ড্রেজার দিয়ে জাহাজে (বাল্বহেড) বালু তোলা হচ্ছে। আর এসব বালু বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা জাহাজের মাধ্যমে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আজ ১৪ জুন (বুধবার) খোজ নিয়ে জানা যায় আজও বালু উত্তোলন ও বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে আ.লীগ নেতা বাচ্চু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ড্রেজারটি পরিচালনার জন্য সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আ. রহিম খানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। তার মাধ্যমেই এই বালু উত্তোলন চলছে এবং তিনি নিজেই এসকল কার্যক্রম চালাচ্ছেন । আমিতো শুধু দেখাশুনা করছি। জায়গাটি ইজাড়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি আর ফোন ধরেনি।
এ বিষয়টি জানতে আব্দুর রহিম খানকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হইনি।
বালু উত্তোলন ও বিক্রয় সম্পর্কে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি অর্ণব মালাকার’র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে বক্তব্য দেয়া যাবে না। আপনি এ বিষয়ে ডিসি স্যারের সাথে কথা বলতে পারেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) অভিযান পরিচালনা করে জাহাজ (বাল্বহেড) ও দুই ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। ড্রেজার পাইনি কিছু পাইপ জব্দ করেছি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ আলোকিত প্রতিদিন’কে জানান, অবৈধ ড্রেজার বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। গত কালকেও দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। প্রয়োজনে আবারও অভিযান চালানো হবে।
আলোকিত প্রতিদিন /১৪ জুন-২০২৩/এসএএইচ