নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা-১৭ আসনের (গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা) নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট হলে জিতবেন বলে আশা করেছেন ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম সাহেব। ওই আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি এ–ও আশা করেছেন, ওই আসনের এলিট শ্রেণির লোকেরাও তাঁকে ভোট দেবেন না বলে তিনি জানান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম। তারপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গুলশান একটি এলিট (অভিজাত) এলাকা। প্রতিটি রাজনৈতিক দল সেখানে সেভাবে মনোনয়ন দেয়। আপনি কি মনে করেন এলিটদের ভোট পাবেন? জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা ভোটের দিন গিয়ে দেখবেন তো, এলিটের কথা বলছেন, কোটিপতির কথা বলছেন, তাঁরা ভোটের দিন ভোটের মাঠে আসেন কি না? আর কয়টা লোক ভোটের মাঠে আসে, দেখবেন তো আপনারা। আর ওখানেই শুধু এলিট শ্রেণির লোক আছে? এর বাইরে নাই? শিক্ষিত লোক খালি ওই এলাকায় আছে? কড়াইলবস্তি, ভাষানটেকে কি শিক্ষিত লোক থাকে না? তাহলে আপনারা বারবার কেন শুধু ওই আসনের কথা বলছেন। ’হিরো আলম বলেন, ‘এলিট শ্রেণির লোকেরা কখনো আমাকে বলছে তোমাকে ভোট দেব না, কোন টাইমে বলছে? যারা বলছে, তারা দ্যাখেন ওই আসনের ভোটারাই না।’বিএনপি কিংবা অন্য কোনো দল তাঁর পেছনে আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘আগেও বলেছি, এখনো বলছি, আমি একাই লড়াই করি, সংগ্রাম করছি। এখন পর্যন্ত আমার পেছনে কেউ নাই। ভবিষ্যতে যদি কোনো দলে যোগ দিই, তাহলে বলবেন যে আমার পেছনে কেউ আছে। যেহেতু আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি বা অন্য কোনো দল আমার সাথে নাই। ’ঢাকার এই আসনে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে আমাকে ছয়নয় করে হারানো হয়েছে। সেখানে হারানোর প্রতিবাদের মশাল হিসেবে এখানে ভোট করছি। আমাকে বারবার কেন হারানো হচ্ছে? জেতা ভোটে কেন আমি আমার ক্ষমতা বুঝে পেলাম না? তারই পরিপ্রেক্ষিতে এখানে ভোট করছি। দেখি, ওরা ওখানে হারিয়েছে, এখানেও হারায় কি না, দেখব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি এখানেও জয়লাভ করব।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি