সাহিত্য ডেস্ক:
রুগ্ন শহর
সৈয়দ রনো
শহরটি বয়সের ভারে খানিকটা নূজ্ব
ক্লান্ত রাস্তার দীর্ঘশ্বাসে
গুমোট হতে থাকে দক্ষিণা বাতাস
এখানে প্রাণের স্পন্দন নেই
নেই বাহারি চাকচিক্যের জ্যোতি
সোডিয়াম বাতির নিভু নিভু আলোর বিকিরণে
প্রতিরাতেই ক্ষয়ে ক্ষয়ে পরে রূপ লাবণ্য
তোমার পা পড়েনি বলে
শহরটির মুখ খা খা করছে
এ যেনো রোদের খরতাপে ঝলসে যাওয়া আফ্রিকার জঙ্গল
সারিবদ্ধ গাছের উগ্রে দেওয়া নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে ভরে না মন
কথা হয়েছিল কোন এক রূপালী জোছনায়
বহতা নদীর বুকে মুখ রেখে
উড়ালপাখির কানে কানে
হৃদয় নিংড়ানো কথা
ফেসবুকের ইনবক্সেও হয়েছে চ্যটিং
এ শহরের ঝুল বারান্দায় তুমি আসবেই একদিন
কথা রাখনি তুমি
কথা রাখেনি হৃদয়ে পুষে রাখা ভালোলাগার অন্ধ মোহ
তুমি আসনি বলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
শহরে উড়ে আসা আনন্দিত বিকেল
মাটির বুকে গজিয়ে উঠা শত সহস্র
দালান কোঠার মিষ্টি হাসি
দিবা ঘুমে স্বপ্নের জাল বুনি
এখনো আশায় বুক বাঁধি
ধ্রুপদী বিশ্বাসের শাড়ি আর
কপালে লাল টুকটুকে টিপ পরে
ক্ষয়িষ্ণু হৃদয়ের উত্তাল স্রোতে
ভেসে ভেসে তুমি একদিন আসবেই
তোমার অপেক্ষায় ধূলিকণা গায়ে মেখে
জেগে থাকে বিরহী রাত
শহরের আটপৌরে ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি
গুনতে থাকে প্রতিক্ষার প্রহর
চাতক পাখি তাকিয়ে থাকে খোলা আকাশের দিকে
এই বুঝি বৃষ্টি হয়ে নামবে লক্ষ লক্ষ জনতার ভিড়ে
ভিজিয়ে দিবে তপ্ত হৃদয়
ক্ষনিকেই হাসির হিল্লোলে মেতে উঠবে লোকালয়
না ওসব কাল্পনিক!
বন্ধ্যা শহর রুগ্ন কন্ঠে গেয়ে উঠবে তোমার আগমনী গান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ জুন ২৩/ রহখ