মোহাম্মদ রুবেল :
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোরে বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে একটি গ্যারেজে আগুন লেগে ৪০ অটো বিকশা পুড়ে যায়। স্থানীয় আরজু মিয়ার গ্যারেজ ছিল এটি । গ্যারেজটির দায়িত্বে ছিল রানা মিয়া। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, গ্যারেজের দায়িত্বে থাকা রানা ভোরে তার বাসায় ওষুধ খেতে গেলে আগুন লাগে। বাসা থেকে ১০ মিনিট পর এসে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান দেখে চিৎকার করতে থাকে। দ্রুত গতিতে এলাকাবাসী তার আশে পাশের সকল বাসার বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে দেয়। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস দেরি করে আসায় গ্যারেজের মধ্যে থাকা চার্জে দেওয়া ৪০ টি ব্যাটারী চালিত গাড়ি পুড়ে ৯০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যায় । এর মধ্যে অটো ছিল ৫টি, অটোরিক্সা ৩০টি ও ভ্যান ৫টি । আগুনের কথা শুনে ছুটে আসে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুলতান মিয়া, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হাসিনা হায়দার চামেলী, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ ,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও মিডিয়া কর্মীরা । পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ আলোকিত প্রতিদিনকে জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের যতটুকু সম্ভব অনুদান দেওয়া হবে পাশাপাশি উপস্থিত জনতার কাছে দাঁড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মসিউর রহমান হুমায়ূনকে ফোন করে আগুনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে কিছু অনুদানের ব্যবস্থার কথা বলেন এবং তার নিজের পক্ষ থেকে ও অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বলেন। পুড়ে যাওয়া গাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনাদের জন্য আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে আমি চেষ্টা করব। আপনাদের গাড়ির কাগজপত্র, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ২ কপি ছবিসহ নামের তালিকা করে আমার সাথে অফিসে দেখা করবেন। পুড়ে যাওয়া গাড়ির মালিকদের পাশাপাশি ড্রাইভাররা কিছু অনুদান চায় সকলের কাছে । ড্রাইভার নাহিদ বলেন আমরা এখন ঈদের মৌসুমে নতুন কোথাও গাড়ি ভাড়ায় চালাতে পারবো না । তাই আমরা সরকারি তহবিল থেকে কিছু অনুদান পেলে উপকৃত হতাম। পুড়ে যাওয়া জায়গার ধ্বংসস্তুপ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পরিষ্কার করা হচ্ছে ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ জুন ২৩/ এসবি