মো.রাজন মিয়া:
শেরপুরে ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৩ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ডা. মোবারক হোসেন, ডা. গোলাম মোস্তফা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, আগামী ১৮ জুন একযোগে জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী এক হাজার তিন শত চুয়াল্লিশটি টিকাদান কেন্দ্রসহ সর্বমোট এক হাজার তিন শত আটান্নটি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সেই সাথে একই দিনে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এদিন ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৩ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা রয়েছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস দুই লাখ এবং রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস এক লাখ আই ইউ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রদান করেছে। তিনি আরও জানান, কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলায় মোট পাঁচ শত বায়ান্ন জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং দুই হাজার সাতশত ষোল জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ হাজার ৬ শত একাত্তর জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী এক লাখ ৯১ চার শত ১২ জন শিশুকে এদিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর। ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে যদি কোন শিশু বাদ পড়ে তবে পরবর্তীতে তাকে নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, বিগত সময়ে আমরা জেলায় এই কর্মসূচির ৯৮% লক্ষমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। এবারের কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার প্রচারণাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছি। তিনি নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ জুন ২৩ / এসবি