আলোকিত ডেস্ক:
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১২ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। রোববার জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাবুর বিরুদ্ধে সাত দিন ও বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বাবুকে পাঁচ দিন এবং বাকি আসামিদের মধ্যে ছয় জনের চার দিন এবং পাঁচ আসামির তিন দিন রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ। শুনানির আগে কঠোর নিরাপত্তায় বাবু চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিদের এদিন আদালতে হাজির করা হয়। বাবু ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন রেজাউল করিম,মনিরুল ইসলাম মনির, জাকিরুল ইসলাম, মো. গোলাম কিবরিয়া সুমন, মো. মিলন, মো. তোফাজ্জল, আইনাল হক, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, মো. শহিদ, মকবুল ও মো. ওহিদুজ্জামান। বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, আলোচিত সাংবাদিক নাদিম হত্যায় রাষ্ট্রপক্ষ বাবুর বিরুদ্ধে সাত দিন ও বাকি প্রত্যকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিলেন৷ এ ঘটনায় দীর্ঘ শুনানি হয়। তিনি বলেন, এ সময় আমরা বলেছি রাতের আঁধারে হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল এবং কীভাবে আঘাত করেছে এই তথ্যগুলো উৎঘাটনের জন্য আসামিদের পুলিশের রিমান্ড প্রয়োজন। আসামি পক্ষের চার-পাঁচজন আইনজীবী ছিলেন। তারা তাদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। গত ১৪ জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে জামালপুরের বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টার দিকে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১৫ জুন সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান বকশীগঞ্জ থানার ভাররপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ জুন ২৩/ এসবি