বেলকুচিতে দুইজন গরু চোর গ্রেফতার,থানায় এনে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

0
227
আতিকুর রহমান খন্দকার: 
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি দুর্গম চরাঞ্চল বড়ধুল ইউনিয়নে ভাঙ্গাবাড়ী কোলেরচর গ্রামের শহিদ ভূইয়ার বাড়িতে শনিবার রাত ১টার সময় গরু চুরি করতে গিয়ে ফরিদুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন নামে দুই চোরকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লাকে জানালে গরু চোরকে বেধে ঘরে আটকে রাখতে বলে, কিন্তু চেয়ারম্যান তখনও জানেনা গরু চোর তার ভাতিজা, আর তারই পরামর্শে গরু চুরির বিষয় ফোন দিয়ে থানায় জানালে চোরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে যখন জানতে পারে চোর তারই ভাতিজা আর তখনই শুরু হয় খেলা, তখন চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা ও বড়ধুল ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ থানায় এসে চোরের জাবিনদার হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা না দেওয়ার কাকুতি মিনতি করে ছাড়িয়ে নেওয়ার  অভিযোগ উঠেছে। এতে হতাশা হয়ে পরেছে গরুর খামারীরা। আটককৃতরা হলো বেলকুচি সদর ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামের ছাকাত মোল্লার ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩০), অন্য জন একই গ্রামের শাজাহান মোল্লার ছেলে ফারুক হোসেন (২৮)। শহিদ ভূইয়ার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন জানান, আমার বাড়িতে ১০-১২টা গরু থাকায় টেনশনে ঘুম একটু কমই পারি, তাতে বিদ্যুত না থাকায় প্রচন্ড গরমের কারনে জানালার কাছে বসে রয়েছি এমন সময় গরুর ঘরে লাইটের আলো দেখতে পাই। তখনই আমার স্বামী শহিদ ভূইয়াকে সাথে নিয়ে ঘরের দরজা খুলতেই তারা দৌড়ে গরুর ঘরের পাশে পালিয়ে থাকে, আমরা চিৎকার দিতে থাকলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে ধরা হয়। চোর ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে কিছুদিন আগেও এক বাড়ি থেকে শরিষা চুরি করার অপরাধে দরবারে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হয় বলে জানা যায়, তার কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। জানা যায় চোরের বাড়ি বরইতলা আর গরুর মালিক শহিদ ভূইয়ার বাড়ি কোলেরচর গ্রামে, প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে তারপরও নদী পার হয়ে যেতে হয়। চোরকে জিজ্ঞাসা করলে এক চোর জানায় আমরা গাঁজা কিনতে এসেছি, আর অন্য চোর জানায় আমরা প্রেমের টানে এসেছি। মেয়ের নাম জানতে চাইলে যার নাম জানায় খবর নিয়ে দেখা যায় মেয়ে তার ভাস্তি, মেয়ে জানায় সে যদি আমার নাম বলে থাকে তাহলে সে ভয়ে বলেছে কারন সে আমার চাচা হয়। তার সাথে আমার কোন কথা হয়নি আর এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। বড়ধুল ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ জানায় এটা প্রেম সংগঠিত বিষয় তারা সেখানে গরু চুরি করতে যায়নি। চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, গরু চুরির বিষয় আমি রাতেই জেনেছি কিন্তু তারা যে আমার ভাতিজা সেটা জানতাম না। কারন তারা গরু চোর না এখানে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে । বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাসার জানান, বড়ধুল  ইউনিয়নে দুইজন গরু চোর ধরা পরেছে ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কারী না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯ জুন-২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here