মো. নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে রাব্বি-(১৬) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম ফুলবাড়িয়ার একটি ঝোঁপ থেকে রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রাব্বি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা আরামবাগের মানিক মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর পরই ঘাতক সাগর (১৮) পলাতক রয়েছে। এদিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাগরের মা লিলি বেগম ও নানি শাশুড়ি রাবেয়াকে আটক করেছে। ঘাতক সাগরের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। সে পরিবার পরিজনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়ার ভাড়া বাসায় থাকতো। এ ব্যাপারে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, নিহত রাব্বি ও ঘাতক সাগর দুজন দুজনের বন্ধু। সম্প্রতি মোবাইল ফোন নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় রাব্বি সাগরকে চড়-থাপ্পর মারে। এ ঘটনায় রাব্বির উপর ক্ষুব্ধ হয় সাগর। গত শনিবার রাতে ফোন দিয়ে রাব্বিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পশ্চিম ফুলবাড়িয়ার একটি ঝোঁপে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়। রাব্বিকে খুন করার কথা নিজেই সে ফোন করে তার মাকে জানিয়ে বলে যে রাব্বির মরদেহ পশ্চিম ফুলবাড়িয়ার ঝোঁপের মধ্যে পড়ে আছে। ছেলের ফোন পেয়ে লিলি বেগম বিষয়টি রাব্বির মাকে জানায়। পরে রাব্বির মা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাগরের মা লিলি বেগম ও নানি শাশুড়ি রাবেয়া বেগমকে আটক করে। ওসি এমরানুল ইসলাম আরো বলেন, রাব্বিকে শনিবার রাতেই সম্ভবত শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কেননা তার শরীরে পচন ধরেছে। আমরা ঘাতক সাগরকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ জুন ২৩/ এসবি