পথচারীদের স্বাগত জানাচ্ছে ফুল

0
280

আলোকিত ডেস্ক:

ফুল মানেই সৌন্দর্য। স্বাভাবিক দৃষ্টির আড়ালটুকু ভেদ করে সে অপরূপ শোভা প্রকৃতিতে হঠাৎ প্রকাশিত। সেখানে ভরে করে থাকে একরাশ বিস্ময় আর গভীর ভালোলাগা। সবাই যেই সৌন্দর্যটুকুকে উপভোগ করে ধন্য ও বিমুগ্ধ হয়। দুই লেনের একটি মাঝারি ধাচের পাকা সড়ক চলে গেছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা হয়ে কমলগঞ্জ উপজেলায়। এর দুই পাশে রয়েছে চা বাগান। আর সেই চা বাগানের ঘন সবুজ চা গাছের মেলা। এ সড়কের দুই দিকের মাঝারি এবং বড় গাছগুলোতে সম্প্রতি প্রস্ফুটিত মন ভোলানো নানা জাতের ফুল। এ ফুলগুলোই পর্যটননগরীর প্রবেশদ্বারে প্রস্ফুটিত হয়ে পুরো শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য সংক্ষিপ্তকারে মেলে ধরেছে। বধ্যভূমি ৭১ থেকে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটর (বিটিআরআই) প্রবেশপথ পর্যন্ত লাল, হলুদ আর গোলাপি শোভা ফুটিয়ে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে। যা পর্যটননগরী শ্রীমঙ্গলকে আরও রূপময় করে তুলেছে। সমতল ভূমিতে বিস্তৃত চা বাগানের মধ্যে এ যেন আগত পর্যটকদের জন্য বাড়তি পাওয়া।  সকাল বেলায় শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলা সড়কের বধ্যভূমি ৭১ নামক স্থানে প্রাতঃভ্রমণে একত্রে বের হওয়া দুই পর্যটকের একজনের নাম আবির রাজ। তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গলের অনেক প্রশংসা শুনেছি। অনেক দিন পর তৃতীয়বার প্রিয় শ্রীমঙ্গল এসে চোখজুড়ানো এসব ফুলের সৌন্দর্যের মুগ্ধ হলাম। গাছগুলোতে ফুলের এই দৃশ্য সত্যি মনোমুগ্ধকর। এর পাশেই বধ্যভূমি ৭১। তার ভেতরেরও বহু ফুলের সমাহার। সে সমাহারে এসে যুক্ত হলেই চোখ জুড়িয়ে যায়! ভরে উঠে মন! আজ থেকে প্রায় পাঁচ-সাত বছর আগে এই এলাকায় বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বেশ কিছু ফুলের গাছ লাগিয়ে ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী গোলাম মোহাম্মদ শিবলি। পেশায় তিনি একটি চা কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক পদে কর্মকর্তা। ফুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভালোবাসেন তিনি। প্রতিবছর বর্ষ মৌসুমে পরিত্যক্ত খালি জায়গায় নিজ উদ্যোগেই নানা জাতের ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। কালক্রমে সেগুলো বড় হয়ে ছায়া দেয়, অক্সিজেন দেয় আর রকমারি ফুলের শোভা দেয়। এ প্রসঙ্গে  তিনি বলেন, গাছ লাগানো নেশা আমার অনেক আগে থেকেই। পেশাগতকারণে চা বাগানের গাছের প্রতি ভালোলাগা অনুভব করতে করতে অন্য গাছের প্রতিটিও ভালোবাসাটুকু টের পাই। নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিই আমার মতো করে আমি প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে বৃক্ষরোপণ করবো। সেই থেকে শুরু। এসব প্রস্ফুটিত ফুলগুলো সম্পর্কে সিনিয়র এই টি-প্ল্যান্টার বলেন, বধ্যভূমি ৭১ এর ভেতরে এবং এর আশেপাশে বেশকিছু বড় প্রজাতির ফুলের গাছ লাগিয়েছিলাম পাঁচ-ছয় বছর আগে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, ক্যাসিয়া জাভানিকা প্রভৃতি। সোনালু ফুলগুলো রং হলুদ এবং লতার মতো নিচের দিকে ঝুলে পড়া। কৃষ্ণচূড়া রং টকটকে লাল। বহু দূর থেকে এই ফুল আকর্ষণ করে থাকে। আর ক্যাসিয়া জাভানিকার বাংলা নাম নেই, তাই বৈজ্ঞানিক নামেই আমরা উল্লেখ করে থাকি। প্রতি বছরের এ সময়ে গাছগুলোতে ফুল ধরে। সৌন্দর্যপিপাসুরা পর্যটন নগরী এবং চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে এসে প্রবেশমুখের ওই ফুলেল শোভায় মুগ্ধ হয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।

আলোকিত ডেস্ক/ ২০ জুন ২৩/ এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here