আলমগীর হোসেন:
সখিপুরে যে সব ভূমি দস্যুরা বনবিভাগের জমি জবরদখল করেছে এবং বিক্রি করে দিয়েছে তারাই এখন বনবিভাগের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার এবং সরকার প্রধান যেখানে বাগান সৃজনের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে,সেখানে সরকার দলীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যান,নেতা-কর্মীরা বাগান সৃজনের বিরুদ্ধে তথা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি দলের মাধ্যমে এটা কোন নতুন ষড়যন্ত্র কিনা বিজ্ঞমহল ধারণা করছেন। এ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিকট হাসির খোরাক ও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। টাঙ্গাইলের ধলাপাড়া রেঞ্জের ধলাপাড়াসদর,সাগরদিঘী বিট,বহেড়াতৈল রেঞ্জের বহেড়াতৈল সদর,কাকড়াজান(মরিচা),কচুয়া,এমএম চালা(আন্দি),ডিবি গজারিয়া (কৈয়ামধু) বিট,হতেয়া রেঞ্জের হতেয়া সদর, বাজাইল, কালমেঘা, কড়ইচালা, কালিদাস বিট,বাঁশতৈল রেঞ্জের পাথরঘাটা,বংশিনগর,নলুয়া বিট নিয়ে সখিপুর উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঠিত। এর মধ্যে হাজার হাজার একর জমি জবর-দখল,বেদখল হয়ে ঘরবাড়ি, দালান কোঠা,করাতকল,কল-কারখানা নির্মিত হয়েছে। আবার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বনবিভাগের জমি ইস্তফার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে,এমনকি সখিপুর পৌর এলাকাতেও বনবিভাগের জমি বিক্রয় করা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি,দালানকোঠা,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা হয়েছে। বনবিভাগ কর্তৃক ৩২০ হেক্টর জমিতে বাগান সৃজন করা হবে। বনবিভাগের জমি জবর-দখলের তুলনায় ৩২০ হেক্টর জমি খুবই নগন্য। এ বিষয়ে হতেয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন,আমারা তো কারো জমি দখল করছি না,বনবিভাগের জমিতেই চারা রোপন করছি। পর্যায়ক্রমে জবরদখলকৃত বনবিভাগের জমি পুনরুদ্ধার করে বাগান সৃজন করা হবে। বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম আমিনুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক বনবিভাগের জমি বিক্রি করেছেন,এখন বনবিভাগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২১ জুন-২০২৩/মওম