বাংলাদেশের স্টার্টআপ : প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা

0
317
স্টার্টআপ

বাংলাদেশে স্টার্টআপ এগিয়ে চলেছে সম্ভাবনার পথে। সম্প্রসারণশীল প্রযুক্তির প্রভাবে নতুন পরিবর্তনের সৃষ্টি হচ্ছে এই দেশে। তরুণদের উদ্দীপনা এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার সমন্বয়ে এইখাত খুলে দিতে পারে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।

স্টার্টআপ একটি প্রতিষ্ঠানকে আরও উন্নত ভাবে স্থাপন করতে পারে যার মাধ্যমে নতুন ও সঠিক পদ্ধতিতে পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন করে। স্টার্টআপ কোম্পানি গুলি সাধারণত প্রযুক্তিগত দক্ষতা, নতুনত্ব এবং বিপণন কৌশলের মাধ্যমে নতুন দুয়ার উম্মোচন করা।

বাংলাদেশে স্টার্টআপের সুযোগ ও সম্ভবনা

বাংলাদেশে স্টার্টআপের ইতিহাস বেশি পুরনো নয়।এক দশকের মত হবে । বাংলাদেশে স্টার্টআপের জন্য অপরিসীমার সুযোগ ও বিপুল সম্ভবনা রয়েছে । অনেক সম্ভাবনাময় উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখছে ৷বিদেশিরাও এখাতে বিনিয়োগ শুরুকরছে ৷ আবার অনেক গুলোই আপ আলোর মুখ দেখার আগেই মুখথুবড়ে পড়ছে ৷ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশে স্টার্টআপ প্রেমিদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

২০১৮ সালে বিশ্বখ্যাতই কমার্স আলীবাবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এন্টফাইন্যান্সিয়াল বিনিয়োগ করা মোবাইল ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান বিকাশই বাংলাদেশের প্রথম স্টার্টআপ বিবেচনা করা যায় ।বাংলাদেশের স্টার্টআপ জগতে বিকাশ প্রথম ইউনিকর্ন।

বাংলাদেশ সরকার স্টার্টআপ কোম্পানি গুলির উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপ গুলির মধ্যে অন্যতম রয়েছে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলির জন্য আর্থিকসহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সহজীকরণ এবং ব্যাংকিং ও অন্যান্য সেবাদি উন্নয়ন।

স্টার্টআপ কোম্পানি গুলির সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটিচ্যালেঞ্জপূর্ণ অধিকার। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, তথ্য নিরাপত্তা, ব্যবসায়িক পরিচ্ছন্নতা এবং প্রচুর প্রতিযোগিতার মধ্যে স্টার্টআপ প্রেমিদের জন্য মানসিক ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ গুলি থাকে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করার জন্য প্রতারণার হাত থেকে স্টার্ট আপকে মুক্ত রাখতে হবে।মিথ্যার ফুলঝুড়ি সাজিয়ে হয়তো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে পারবে । অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারী স্টার্টআপ ফান্ড ব্যবস্থাপনা করে দেয়। তারা বাংলাদেশে না এসে ইউদ্যোক্তার প্রেজেন্টেশনদেখেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।ভবিষ্যতেও ইস্টার্টআপের তথ্যে গরমিল পাওয়া গেলে একটা ইমেজে সংকট সৃষ্টি হবে যা দেশের কারো জন্যই ভালোফল বয়ে নিয়ে আসবে না।

স্টার্টআপ কোম্পানি গুলির একটি গুরুত্ব পূর্ণ আংশ হচ্ছে স্টার্টআপ এক্সিট পলিসি। স্টার্টআপ এক্সিট পলিসির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান গুলি বিক্রিত বা মার্জ করে অর্থনৈতিক লাভ উপার্জন করতে পারে এবং সুন্দর ভাবে প্রতিষ্ঠান গুলির কার্যক্রম নির্ধারণ করতে পারে স্টার্টআপ কৌম্পানী গুলোর সাফল্য ফান্ড উত্তোলনের উপর নির্ভর না বরং নির্ভর করে এক্সিট বা প্রস্থানে।স্টার্টআপ কৌম্পনী গুলোতে বিনিয়োগ অন্য যে কোন বিনিয়োগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে থাকে।বিনিয়োগ কারীরা এখানে অনেক ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করেন অনেক বেশী লাভের আশায়।যে সকল উদ্যোক্তা বিনিয়োগ কারীদের ভালো মুনাফার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন, বিনিয়োগ কারীরা তার দিকে আকৃষ্ট হবেন।ভালো এক্সিটমুখের মিষ্টি কথায় হয়না, ভালো ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হয়।

বাংলাদেশের স্টার্টআপ প্রেমিদের জন্য ভবিষ্যতে উজ্জ্বল একটি প্রত্যাশা আছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতাও সরকারের পদক্ষেপের মাধ্যমে স্টার্টআপ সেক্টরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলির উন্নয়ন হবে। এটি অনিন্দ সুযোগ যা উচ্চ মানের আবেদন এবং পোটেনশিয়াল স্টার্টআপ কোম্পানি গুলির জন্য একটি গভীর ভাবে প্রভাবশালী পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

বাংলাদেশের স্টার্টআপ সেক্টর প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি আকর্ষণীয় ও উন্নতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে স্টার্টআপ প্রেমিদের উপকার হচ্ছে। এই ধরণের সফলতা স্টার্টআপ প্রেমিদের জন্য অনেকটা মহৎ প্রাপ্তির বোধ করে এবং আরও অনেক কাজের অগ্রগতির সুযোগ দেয়।

মোঃ মামুনুর রহমান
তরুণ উদ্যোক্তা

আরো খবর: টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকসহ সাবমেরিন নিখোঁজ

আলোকিত প্রতিদিন/ ২১ জুন-২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here