মোঃ জিয়াউর রহমান প্রধান:
প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রীর হাত এবং মুখ বেঁধে রাতের আঁধারে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা সাফিয়া বেগম বাদী হয়ে বৃহষ্পতিবার আড়াইহাজার থানায় ধর্ষককে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ জুন রাতে উপজেলার মেঘনা বেষ্টিত দূর্গম কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যারচর এলাকায়। মালার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) কে স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রেম নিবেদন করতো একই গ্রামের রাজ্জাক ওরফে মালেকের ছেলে সাকিল (২০)। এতে ধর্ষিতা রাজী না হলে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল শাকিল। ২০ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে তাকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বাড়ী থেকে সামান্য দূরে জনৈক জব্বরের ফাঁকা ও পরিত্যাক্ত ঘরের ভিতর নিয়ে ধর্ষিতার মুখ এবং হাত কাপড় দিয়ে বেঁধে বলপূর্বক ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে ধর্ষক পালিয়ে যায়। রাত ১২টার দিকে বাড়ীর লোকজন খোঁজাখূঁজি করে ধর্ষিতাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তবে মামলা হলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক তৈয়ব জানান, আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ জুন-২০২৩/মওম