কোরবানীর পর্যাপ্ত পশু নেই সিলেট ও মৌলভীবাজারে

0
157
শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান:
আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ লক্ষ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে ২২৫টি পশুর হাটে বিকিকিনি শুরু হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে হাটে বিকিকিনি জমজমাট হওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও খামারে খামারে বেড়েছে বিকিকিনি। অনলাইন, অফলাইনে দেশ বিদেশের ক্রেতারা কোরবানী পশু কিনছেন। তবে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের হিসেবে এবার সিলেট এবং মৌলভীবাজারে খামার ব্যক্তি পর্যায়ে চাহিদা অনুপাতে পশুর মজুদ নেই। তবে বিভাগের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে চাহিদার বেশি পশু মজুদ থাকায় সিলেট অঞ্চলে কোরবানী যোগ্য পশুর ঘাটতি থাকবে না। সিলেট প্রতিনিধির পাঠানো রিপোর্টে জানাযায়,প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মতে সিলেট বিভাগে এবছর কোরবানীর পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৩ টি। বিভাগজুড়ে গরু মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি পশু ব্যক্তি ও খামার পর্যায়ে প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজারে চাহিদার ৪৫ হাজার ৫৩টি পশুর ঘাটতি রয়েছে। সিলেটে কোরবানীর পশুর চাহিদা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯৭ এর বিপরীতে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৩৮ এবং মৌলভীবাজারের কোরবানীর পশুর চাহিদা ৯৮ হাজার ৪০২ এর বিপরীতে ৭২ হাজার ৪১৫ প্রস্তুত রয়েছে। তবে বিভাগের সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলায় চাহিদার তুলনায় ৭১ হাজার ৯৮৫ বেশি পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভাগের সিলেট ও মৌলভীবাজারের পশুর ঘাটতি পাশর্^বর্তী জেলা থেকে মেটানো সম্ভব। এদিকে প্রবাসী অধ্যূষিত সিলেটে কোরবানীর পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। বিভাগের ২২৫ টি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি থাকলেও বিকিকিনি তেমন একটা নেই। ক্রেতারা দেখেশুনে দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। অপরদিকে খামারে খামারে বেড়ে ওঠা কোরবানীর পশুর আকর্ষণে ছুটছেন ক্রেতারা। অনলাইন আর অফলাইনে জমে ওঠেছে বিকিকিনি। হাটের নোংরা পবিরেশ, দালালদের উপদ্রব সব মিলিয়ে হাট বিমুখ হচ্ছেন সিলেটের ক্রেতারা। তারা বলছেন, খামারের পশুগুলো বাছাই করা থাকে। আর এ কারণে কোরবানীর সুন্দর পশু কিনতে খামারগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়ছে তাদের। এদিকে বাজার কিংবা খামারে পশুর মজুদ থাকলেও বিকিকিনি নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সময় গড়ালে বিকিকিনি বাড়বে। খামারে খামারে প্রাকৃতিক খাদ্যে পশু প্রতিপালনের জন্য ক্রেতাদের আকর্ষণও বাড়ছে। তবে বাজারে সিলেটের বাইরে থেকে পশুর আমদানি পুরোপুরি না হওয়ায় দামও যেমন চড়া, তেমনি বিকিকিনিও কম। এদিকে কোরবানীর হাট ও আশপাশের এলাকায় যাতে কোরবানীর পশু বিক্রেতারা কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জেলা পুলিশ কয়েকস্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে। হাইওয়েতে পশুবাহী গাড়ির নিরাপদ যাত্রা, কোনো ধরণের চাঁদাবাজি যাতে না হয় এবং সড়কে ইজারা বহির্ভূত পশুর হাট না বসে তার জন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ। ঈদ ঘনিয়ে আসলে জমজমাট হয়ে ওঠবে কোরবানীর পশুর হাট- এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ জুন-২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here