রূপগঞ্জে হাট ভর্তি কোরবানির পশু থাকলেও বিক্রি কম

0
339

শ্রী দিপু চন্দ্র গোপ:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটে ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে পশু। হাটগুলো কোরবানির পশুতে পরিপূর্ণ। আছে ক্রেতা সমাগমও। তবে এখনো পুরোদমে বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতা ও হাট ইজারাদাররা। খোঁজ নিয়ে জানায়, উপজেলায় ১৬টি অস্থায়ী ও ২টি স্থায়ী হাট সহ সর্বমোট ১৮টি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ২৬ জুন সোমবার উপজেলার পশুহাট গুলো ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হাটে প্রচার-প্রচারণা চলছে পুরোদমে। নানা রঙে সাজানো হয়েছে ব্যানার ও গেট। সারিসারি পশু বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। সবগুলো হাটেই প্রচুর পরিমাণ কোরবানির পশু উঠেছে। এর মধ্যে মাঝারি এবং ছোট গরুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার হাটগুলোতে ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। কোরবানির পশুর দামও ভালো বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। তবে পশু কিনতে আসা ক্রেতারা বলছে এবার হাটে পশুর দাম চাচ্ছে বেশি। সিরাজগঞ্জ থেকে নোয়াপাড়া হাটে গরু এসেছেন পাইকার আজমতউল্লা সিকদার। তিনি বলেন, আমি তিন মণ থেকে ছয় মণ ওজনের ১০টি গরু এনেছি। দুটি গরু বিক্রি করেছি। এখানে ৩০-৩৫ হাজার টাকা প্রতি মণ ওজন হিসেব মাথায় রেখেই পশু বিক্রি করছি। বগুড়া থেকে গরু আনা ইদ্রিস মিয়া বলেন, ১২টি গরু এনেছি। ক্রেতারা আসছেন তবে বিক্রি কম। ক্রেতারা দেখছে দরদাম করছে। এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। মঙ্গলবার থেকে বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা আছে। নোয়াপাড়া হাটে পশু কিনতে আসা মহিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতিবছর খামার থেকে গরু কিনে থাকি। খামার থেকে গরু কিনলে সুবিধা আছে। ঈদ পর্যন্ত গরু খামারে রাখা যায়। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে এবছর গরুর দামটা একটু বেশি। রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিগান মোল্লা আলোকিত প্রতিদিন কে  বলেন, উপজেলার হাটগুলোতে চাহিদার দ্বিগুণ কোরবানির পশু আছে। হাটে আমাদের ভেটেরিনারি ডাক্তার টিম পশুর জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান আলোকিত প্রতিদিন কে বলেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন আছে। এছাড়া সেখানে জাল নোট পরীক্ষার মেশিন বসানো হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জুন-২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here