স্বস্তিতেই ঢাকায় ফিরছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ

0
160

নিজস্ব প্রতিবেদক :

টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষে সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলেছে গতকাল রোববার। ছুটি শেষ হওয়ায় প্রথম দিন অফিস করতে গত পরশু থেকেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আজও ফিরছেন অনেকে, তবে সেই সংখ্যা কম। গত ২৯ জুন সারাদেশে উদযাপিত হয় মুসলমান ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদ উপলক্ষে প্রথমে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন নির্ধারিত হয় সরকারি ছুটি। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২৭ জুনও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৩০ জুন চারদিনের ছুটি শেষ হলেও ১ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার। ফলে আরও একদিন ছুটি পেয়ে যান সরকারি চাকরিজীবীরা। ফলে টানা পাঁচদিন ছুটি মেলে তাদের। সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিতে ঈদ উপলক্ষে চারদিনের ছুটে দেওয়া হয়। ফলে ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির চাকরিজীবীরাও টানা পাঁচদিনের ছুটি পেয়ে যান। এদিকে ছুটি কাটিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে যাওয়া সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকেই অফিস করতে আজও ঢাকায় ফিরছেন।
রাজধানীর ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ফাঁকা সড়কগুলোতে কিছুক্ষণ পরপর এসে থামছে যাত্রীবাহী গাড়ি। এসব গাড়িতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের অধিকাংশই চাকরিজীবী। অনেকে একা ফিরছেন, কেউ ফিরছেন পরিবার নিয়ে। অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি একদিন ছুটি কাটিয়ে আজ ঢাকায় ফিরছেন। এছাড়াও অনেকে বাড়তি দুদিন বা তার বেশিও ছুটি নিয়েছেন। ফলে চলতি সপ্তাহজুড়ে মানুষ ঢাকামুখী হবেন। এদিকে একটি সরকারি হাপাতালের নার্সের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার পর্যন্ত ছুটি ছিল, গতকাল বাড়তি ছুটি নিয়েছিলাম। তাই আজ সোমবার ঢাকায় ফিরলাম। শিফটের ডিউটি, তাই সকালে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে শরীয়তপুর থেকে চলে এসেছি। এখন বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে দুপুরের শিফটে অফিসে কাজ শুরু করবো। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের রেখে এসেছি, খুব খারাপ লাগছে। অফিস যেহেতু করা লাগবে তাই চলে আসতে হয়েছে। নাহলে আরও কয়েকদিন বাড়িতে থাকতে পারলে ভালো লাগতো। এদিকে ঢাকায় ফেরা এক চাকরিজীবীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ছুটি তো গতকালই শেষ হয়েছে। অফিসের বসকে ফোন করে অনুরোধ করেছি একদিন বাড়তি থাকবো। তিনি অনুমতি দেওয়ায় গতকালও বাড়িতে থেকেছি। আজ এলাম। বাসায় গিয়ে এরপর সরাসরি অফিসে যাবো।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা একেবারেই ফাঁকা, আসার পথে যানজটে কোথাও থামতে হয়নি। এটা ছিল খুব শান্তির বিষয়। যাওয়ার পথেও শান্তিতেই গেছি। আমি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে প্রতিটি ঈদই গ্রামে করি। আমার মা বাড়িতে আছেন, তার সঙ্গে ঈদ করতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২জুলাই-২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here