মো.রাজন মিয়া:
শেরপুরে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একমাত্র আসামি ইসমাইল হোসেনকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে আরো ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ৫ জুলাই (বুধবার) দুপুরে এ আদেশ প্রদান করেন শেরপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ। এ সময় আদালত পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. ইসমাইল হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, চাঞ্চল্যকর ওই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার কাকরকান্দি গ্রামে। ঈদ-উল-আজহার পরবর্তী সময়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে তার স্ত্রী বিলকিছ আক্তার (৩০) ও শাশুড়ি খালেদা বেগম (৫০) কে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় জোড়া খুনের মামলা দায়ের করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। জানা যায়, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামি ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী বিলকিছকে রান্না ঘরের সামনে ঘরে থাকা দা দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এ সময় তার শ্বাশুড়ি খালেদা বেগম ফেরাতে এলে তাকেও কোপাতে থাকে। তাদের আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন ফেরাতে এগিয়ে এলে আরও ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করে সে। পরে গুরুতর আহত স্ত্রী বিলকিছ আক্তার ও শাশুড়ি খালেদা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মারা যায় স্ত্রী বিলকিছ আক্তার। এদিকে শাশুড়ি খালেদা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা বেগমও মারা যান। ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে স্ত্রী বিলকিছ আক্তারের শরীরে ধারালো অস্ত্রের ১০টি আঘাত ও শাশুড়ি খালেদা বেগমের শরীরে ৯টি আঘাত পাওয়া গেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৫ জুলাই ২৩/ এসবি