মালি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফেরত আসবে ১৭০০ বাংলাদেশি

0
157

আলোকিত ডেস্ক:

মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বে থাকা ১ হাজার ৭০০ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফেরত আসবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে হওয়া রেজুলেশন অনুযায়ী মালি মিশন থেকে সব শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশিদেরও দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এসব কথা বলেন। ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র বলেন, গত ৩০ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে রেজুলেশন ২৬৯০ পাস হয়। এ রেজুলেশনের মাধ্যমে কার্যত মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাতিল এবং মালি মিশন থেকে সব শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শান্তিরক্ষী মালি থেকে প্রত্যাহার করা হবে। রফিকুল আলম বলেন, বর্তমানে সেনা ও পুলিশ বাহিনী মিলে প্রায় ১৭০০ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মালি মিশনে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষী মালি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন। গৃহীত রেজুলেশন অনুযায়ী মালি মিশনে দায়িত্বরত সব শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করা হবে। মুখপাত্র জানান, ম্যান্ডেটের অধীন ভবিষ্যতে যে কোন শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি রয়েছে। সুদান থেকে দেশে ফিরেছে ১০৬২ জন: যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬২ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছে। ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার সুদানে অবস্থানরত ১ হাজার ৬২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সুদান থেকে ফিরিয়ে এনেছে। প্রথম পর্যায়ে ৯০৩ জন বাংলাদেশিকে গত মে মাসে সরকারি খরচে সুদান থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ৮০ জন, ২ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের আরেকটি ফ্লাইটে ৫৯ এবং ৩ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আরও ২০ বাংলাদেশি বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশে আশ্রিত হাজার খানেকের কিছু বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পাইলট প্রকল্পের অধীনে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করার প্রচেষ্টা রয়েছে সরকারের। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের কারণে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র রফিকুল আলম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। তবে প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে তার তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে এটি বিলম্বিত হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ জুলাই ২৩/ এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here