সাহিত্য ডেস্ক :
ঠোঁটের কার্ণিশে ঝুলন্ত চাঁদ
সৈয়দ রনো
রোদের লকলকে জিহবায়
গড়িয়ে পড়ে উষ্ণতার জল
মরুভূমির তপ্ত বালুর বুকে বুদবুদ কম্পন
গরমের মুখে লাগিয়েছি ঘোড়ার লাগাম
ঠোঁটে মেখেছি মেঘমল্লার আলতা
জাগ্রত বোধের বৈরিতা উপেক্ষা করে
খোঁজে এনেছি
বর্ষার জলে ডুবে থাকা
কদম ফুলের চিবুকের স্পর্শ
প্রকৃতির অবাধ্যতাকে উপেক্ষা করে
তন্নতন্ন করে হাতের মুঠোয় এনেছি
বনাঞ্চল বেষ্টিত আফ্রিকা মহাদেশ
উলঙ্গ ঝড়ো হাওয়ার শরীরে
পড়িয়েছি নাইট্রোজেনের চাদর
যৌবনকে নিলামে তুলে
পেরিয়েছি ঢেউয়ের চৌকাঠ
আকাশ মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
পাহাড় পর্বত হিমালয়ও জানে
সাহসে ভর করে
একদিন না একদিন
কর্ষণে ভরিয়ে দেবো অনাবাদি শরীর
রূপবতী চাঁদের শপথ
সন্ধ্যা তারাকে স্বাক্ষী রেখে
জোছনা প্লাবিত রাতে
অভিমানী হৃদয়ে মেখে দেবো
ভালোবাসার প্রলেপ
সাইবেরিয়া হতে উড়ে আসা পাখির ঠোঁটে
পান করবো তৃষ্ণার জল
গ্রহ উপগ্রহ অতিক্রমের নেশায়
আমি তুমি সে
মিলেমিশে হয়ে যাবো আমি
ছলনারা ঘুমিয়ে গেলে
ভেঙে ফেলবো অসময়ের জীর্ণশীর্ণ শরীর
তখন না হয় আত্মগরিমায় আলতু করে ছুঁয়ে দেবো
রক্ত রাঙ্গা ঠোঁটের কার্ণিশ।
আ প্র // সা // রহখ