মো. রবিউল ইসলাম:
লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করল ভারতীয় সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় মোগলহাট সীমান্তে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। শুক্রবার (৭ই জুন) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট সীমান্তের ৯২৬/৯২৭ পিলারের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাংলাদেশী যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম (ওরফে) ট্রে (২০)। সে মোগলহাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চওড়াটারি গ্রামের হায়দার আলীর সন্তান। ঘটনাস্থলে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুখ উপস্থিত হয়ে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় দুপুর ০২টায় মোগলহাট ইউনিয়নের রশিদ মোল্লার পুত্র সোহেল, মৃত আকবর আলীর পুত্র রবিউল এবং রফিকুল ইসলাম ট্রে মটরসাইকেলযোগে কুমারটারি সীমান্তে যান, সোহেল মটরসাইকেল থেকে রবিউল ও রফিকুলকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়, রবিউল ও রফিকুল সীমান্তের ৯২৭ পিলার পেরিয়ে ভারতীয় গ্রাম জারিধল্যায় যাবার জন্য পাটক্ষেতের ভিতর ঢুকে, সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ভারতীয় সন্ত্রাসীরা রফিকুল ইসলাম ট্রেকে গুলি করে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রফিকুল ইসলাম ট্রেকে ঘাড়ে নিয়ে রবিউল সীমান্ত পিলার ৯২৭ এর কাছে ছড়ার পারে আসে, ছড়ায় কলাগাছের ডিঙ্গিতে মাছ ধরছিলো চুনকুটু নামের ব্যক্তি, রবিউল চিৎকার করে চুনকুটুর কাছে সাহায্য চায়, কলা গাছের ডিঙ্গি নিয়ে চুনকুটু ছড়ার মাথায় পৌঁছলে গুলিবিদ্ধ রফিকুলকে রবিউল ডিঙ্গিতে তুলে দেয়, গুলি লাগা স্থান দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হতে দেখে চুনকুটু তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে ক্ষত স্থান বেঁধে দেন। ছড়ার মাঝামাঝি আসলে গুলিবিদ্ধ রফিকুল ইসলাম ট্রে মারা যায়, এসময় অপর যুবক রবিউল সটকে পড়ে। চুনকুটু লাশ ছড়ার পারে বাংলাদেশ অংশে এনে সবাইকে খবর দেয়। ঘটনা শুনে এলাকাবাসী ধারণা করছেন রফিকুল ইসলাম ট্রেকে হত্যার জন্য বাংলাদেশী যুবক রবিউলকে দিয়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় ভারতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ ও লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুখ উপস্থিত হন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষ মারাত্মক আতঙ্কে রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ জুলাই ২৩/ এসবি
