নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
নেত্রকোণা জেলার ছোট কৈলাটীর হামিদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিওন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে সুজন নামে এক জনের কাছ হতে তিন লাখ কাটা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে এলাকা বাসির পক্ষ হতে মো: রেহান উদ্দিন মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সেকশন- ২ মির পুর, ঢাকাও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নেত্রকোণা বরাবর দুর্নীতি ও অনিয়ম এর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় বর্তমানে সুজনের চাকরি না হওয়ায় কারণে বিজ্ঞ আমলি আদালত সদর নেত্রকোনায় মামলা দায়ের করা হইয়াছে। যাহার মামলা নং সি,আর ৭৮(১) ২০২৩ আসামী একজন আজহারুল ইসলাম তাজুল (প্রধান শিক্ষক) এতে করে তিনি স্কুলের কার্যক্রম ও মামলা মোকাদ্দমা নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়া প্রতিনিয়তই হাতাহাতি মারামারি চলিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায়, কখন কি ঘটে যায়, তা বলা যায় না। তাছাড়া এ স্কুলের কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া খুবই অসুবিধা হচ্ছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা খুবই নগণ্য স্কুলের পরিবেশ খুবই খারাপ। পরিশেষে সচেতন অভিভাবক হিসেবে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তিনি ওই প্রধান শিক্ষকের বদলি চান। চাকরিতে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টা নিয়ে অভিযোগকারী সঙ্গে কথা বললে, তিনি জানান অসহায়় অবস্থায় বেকারত্ব দূর করার জন্য, তিন লক্ষ টাকা সাক্ষী গণের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রদান করি । জানি ঘুষ দেওয়া নেওয়া দুটোই অপরাধ, কিন্তু কি করব, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তার আগে উনার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল, কিন্তু তা এ অভিযোগের সঙ্গে জড়িত না। সরকার হঠাৎ করে নিয়োগ বন্ধ করে দিলে, আমি আমার প্রাপ্ত টাকা ফেরত চাই। কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।বেকারত্ব জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি একটু অপরাধ করেছি। কিন্তু যারা ঘুষ নেয়, বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে তারা আরো বড় অপরাধী বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরেই উক্ত অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে আর ষড়যন্ত্র করেই এ অভিযোগ আনা হয়েছে। স্কুলের নিয়োগ তো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তাহলে ঘুষ এর প্রশ্ন আসে কোথা থেকে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট আমি আর তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ করছি। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, স্কুলটির পরিবেশ আগের চেয়ে খারাপ হচ্ছে এর প্রভাব যেন কোমল মতি শিশুদের উপর না পড়ে। তাই বিষয়টি কতৃপক্ষকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার জন্য জোর দাবি জানায় তারা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ জুলাই ২৩/এসবি